বিবিপি নিউজ: বিগত ৭৩ বছর ধরে একই মসজিদে দুই দেশের মানুষ নামাজ পড়ে চলেছেন। আমাদের দেশের কোচবিহারের সাহেবগঞ্জ থানার ঝাকুয়াটারী গ্রামের মানুষেরা ও বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষেরা বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট ঘেঁষে থাকা মসজিদে নামাজ পড়েন।
যুগ যুগ ধরে কোনো সমস্যা ছাড়াই একসঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছে দুই গ্রামের মানুষ। দুই দেশের সম্প্রীতির অটুট বন্ধনের প্রতীক হিসেবে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি।
জানা গেছে, ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হলেও ভাগ হয়নি সীমান্ত ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদটি। দুই দেশের পাশাপাশি দুই গ্রামের মানুষকে একই সমাজে আবদ্ধ রেখেছে ৭৩ বছর ধরে। দেশ বিভাগের বহু আগে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। দেশ ভাগের পর সীমান্তের শূন্যরেখা ঘেঁষে বাংলাদেশর অভ্যন্তরে পড়ে যায়। মসজিদটি কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে।
মসজিদের ইমাম বাঁশজানি গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের দুই গ্রামের মুসল্লিরা আসেন মসজিদে। একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। তখন সবাই ভুলে যান যে- তারা দুটি দেশের নাগরিক। মসজিদ থেকে বের হয়ে কোলাকুলি করেন। নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময় করেন। শুধু তাই নয়, অসুখে-বিসুখে, বিপদে-আপদে পরস্পরের কাছে ছুটে আসেন দুই দেশের দুই গ্রামের মানুষ। বাঁশজানি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মসজিদটির অবকাঠামো ভাঙ্গাচোড়া হলেও এটি আমাদের গর্ব। দুই দেশের অনেক মানুষ মসজিদটি দেখতে আসেন। নামাজ আদায় করেন। আমাদের খুব ভালো লাগে।