ওসির গলা টিপে ধরলেন ওসি-ই, বাঁশ দিয়ে মার দুই সিভিককে! ধৃত পুলিশ অফিসার - BBP NEWS

Breaking

বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ওসির গলা টিপে ধরলেন ওসি-ই, বাঁশ দিয়ে মার দুই সিভিককে! ধৃত পুলিশ অফিসার



বিবিপি নিউজ: নিজে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ওসি পদমর্যাদার আধিকারিক। বীরভূমে কর্মরত। বর্তমানে ছুটিতে মুর্শিদাবাদে পৈতৃক বাড়িতে রয়েছেন। সেখানে একটি হাসপাতালে অসুস্থ মাকে ভর্তি করানো নিয়ে হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বচসা এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসা। সেই ওসির বিরুদ্ধে আর এক ওসির গলা টিপে ধরার অভিযোগ উঠল। শুধু তা-ই নয়, বীরভূমের ওই ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে ভাঙচুর করেছেন। হেনস্থা করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সদের। বচসার সময় দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর ও পরিবারের বিরুদ্ধে।



অভিযুক্ত ওসি আশরাফুল শেখকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মুর্শিদাবাদের পুলিশ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশরাফুল বীরভূমের ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ওসি। কয়েক দিন আগে বিয়ের জন্য ছুটি নিয়ে তিনি মুর্শিদাবাদের লালবাগের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁর বিয়েও হয়ে গিয়েছে। এর পর মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর মা। 



অসুস্থ মাকে রাতে কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন আশরাফুল। সেখানে মাকে ভর্তি করানো নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বচসা বেধেছিল তাঁর। অভিযোগ, বচসার সময় চিকিৎসক-নার্সদের গালিগালাজ করেছেন আশরাফুল। মারধরও করেছেন তাঁদের। হাসপাতালের কর্মীদের দাবি, আশরাফুল সেই সময় মত্ত অবস্থায় ছিলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল লালগোলা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন লালগোলা থানার ওসি অতনু হালদার, সাব ইনস্পেক্টর কল্যাণ সিংহ। অভিযোগ, তাঁদের উপরেও চড়াও হন আশরাফুল। ধস্তাধস্তি, হাতাহাতির সময় অতনুর গলাও টিপে ধরেছিলেন তিনি। হাতে চোট পেয়েছেন এসআই কল্যাণ।ওই ঘটনার পরেই আশরাফুল, তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বিবি এবং পরিবারের চার জনকে গ্রেফতার করেছে মুর্শিদাবাদের পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটি করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর একটি করা হয়েছে মুর্শিদাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে।



কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে অসুস্থ এক রোগীকে নিয়ে এসেছিলেন কয়েক জন। রোগীর অবস্থা দেখে আমরা দ্রুত চিকিৎসাও শুরু করেছিলেন। সেই সময় রোগীর আত্মীয়েরা হঠাৎ করে আমাকে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের গালিগালাজ করা শুরু করেন।

ভগবানগোলার এসডিপিও উত্তম গড়াই বলেন, ‘‘অভিযুক্ত আশরাফুল শেখ তাঁর মাকে নিয়ে কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। আসার পর থেকেই ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিলেন। তাঁদের গায়ে হাতও তুলেছিলেন। পুলিশকর্মীরা যখন ওখানে যান, তাঁদেরও হেনস্থা করা হয়। দু’টি পৃথক অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে।’’

Pages