শিক্ষককে বেধরক মার,এ কেমন রাজনীতি? ভয়ে সিঁটিয়ে অধ্যাপকরা - BBP NEWS

Breaking

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৯

শিক্ষককে বেধরক মার,এ কেমন রাজনীতি? ভয়ে সিঁটিয়ে অধ্যাপকরা

বিবিপি নিউজ নেটওয়ার্ক : ছাত্র সংঘর্ষ শোনা গেছে অনেক,কিন্তু শিক্ষকরাও রেহাই পাচ্ছে না নোংরা রাজনীতির হাত থেকে।

 আবারও কলেজে দাদাগিরির অভিযোগের তির তৃনমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের দিকে। কলেজের গেটের সামনেই অধ্যাপককে ফেলে মার। বুধবার অধ্যাপক হেনস্থার এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোন্নগরের হীরালাল কলেজ। ধুন্ধুমার বেঁধে যায় কলেজ চত্বরে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিগৃহীত অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।

ঘটনা হল, এদিন হীরালাল কলেজে স্নাতকোত্তরের চতুর্থ সেমেস্টারের বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। এদিনই ছিল এই বিভাগের শেষ পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে ছাত্রছাত্রীরা বসে নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করছিল।

এই সময়ই ক্লাসে ঢোকে কয়েকজন ছাত্রী। ওই ছাত্রীরা কলেজের সংসদের সদস্য বলে জানা গিয়েছে কলেজ সূত্রে। তারা ক্লাসে ঢুকেই ছাত্রীদের বিভিন্নভাবে উত্তপ্ত করতে থাকে বলে অভিযোগ। বচসা বেঁধে যায় দু'পক্ষের মধ্যেই। অবশেষে কলেজের অধ্যাপকদের মধ্যস্থতায় থামে সরগরম পরিস্থিতি। স্থির হয় দু'পক্ষই দু'পক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিবাদের ইতি টানবে।

কিন্তু ক্ষমা চাইতে গেলে ওই ছাত্রীদের 'জয় মমতা, জয় তৃণমূল' বলে স্লোগান দিতে চাপ দেয় সংসদের ছাত্রীরা বলে অভিযোগ! এই নির্দেশ না মানায় বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত ছাত্রীদের আটকে রাখা হয় বলেও জানা যায়। এরপর অধ্যাপকরা বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রীদের মুক্ত করে কলেজের বাইরে নিয়ে আসতে যান। এই অধ্যাপকদের মধ্যে ছিলেন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। সুব্রতবাবু আবার জেলার অধ্যাপক সমিতির সভাপতিও।

কলেজের গেটের বাইরে পা দিতেই আঙুল উচিয়ে তেড়ে যায় অধ্যাপকের দিকে। তাঁকে মাটিতে ফেলে বেদম মারতে থাকে কয়েকজন ছাত্র। এদের প্রত্যেকেই কলেজ সংসদের সদস্য বলে জানিয়েছেন সুব্রতবাবু। বেদম প্রহারে চোখ-নাক-মুখ ফেটে যায় সুব্রতবাবুর। ফেটে যায় কপাল।
কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে জল দিতে থাকে সুব্রতবাবুর মাথায়। মাটিতে পরে কলেজের গেটে ঠেস দিয়ে কাতরাতে থাকেন অধ্যাপক।

সুব্রত বাবু জানান, 'কলেজে কোন ছাত্র সংসদ নেই। দু'বছর ধরে কোন নির্বাচন হয় না। এমনই রাজত্ব চলছে রাজ্যের সমস্ত কলেজে। ২০১১ সাল থেকে এটাই প্রত্যেক কলেজের নিয়ম। কলেজে কিছু মস্তান আছে। যাদের নাম বলতে পারব না। বললে কলেজে আর পা দিতে পারব না। আমি ওদের দাদাগিরি মানব না, তাই আমি টার্গেট। আমার দায়িত্ব নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠবে না কলেজে। সবাইকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। একদল বলবে 'জয় শ্রী রাম' বল, আরেক দল বলবে 'জয় তৃণমূল' বল। আমরা কোথায় যাব?

Pages