শৈশবের শিশুপাঠ্যে পড়া 'জল পড়ে পাতা নড়ে', আরো একটু উঁচু ক্লাসে উঠে জানতে পারি 'জলের অপর নাম জীবন' কিংবা জানি 'পৃথিবীতে তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল'। তবু মাত্র সাড়ে তিন দশক এই সেই জলের মতো সহজ সরল সত্যটা কেমন যেন উল্টে গেল।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে দেশের নীতি আয়োগ এর এক রিপোর্ট ১৩০কোটি দেশবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। কি ছিল সেই রিপোর্টে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশের ২১টি বড় বড় শহরে ভূগর্ভস্থ জল শেষ হয়ে যাবে এবং ১০কোটি মানুষ সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। শুধু তাই নয় ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ পানীয় জলের সংকটে পড়বে।
এই মুহূর্তে দেশের প্রথম সারির কয়েকটি রাজ্যে অনাবৃষ্টির জন্য খরার সম্মুখীন ও হয়েছে। সেই তালিকায় বাদ পড়েনি পশ্চিমবঙ্গ ও।পঞ্জিকা অনুসারে আষাঢ় শ্রাবণ মাস বর্ষাকাল।কিন্তু শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহ পার হতে যাচ্ছে এখনো দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টির তেমন কোনো দেখা নেই।আবার উল্টোদিকে অপর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি।এই অসমতা কেন?কেই বা এর জন্য দায়ী?
বিজ্ঞানীরা বলছেন ভুগর্ভ থেকে যে জল মানুষ তুলছে সমপরিমাণ জল তা সে বৃষ্টির জল হোক বা নিত্য ব্যবহারের জলি হোক, সেই জলকে যদি ভূগর্ভে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সমতা ফিরে আসবে।এছাড়া সর্বোপরি মানুষকে হতে হবে সচেতন। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধবে কে? যদি জল সম্পর্কে সচেতন না হওয়া যায় তাহলে সেদিন খুব দূরে নেই যেদিন গোটা পৃথিবীকেই জলের সংকটে পড়তে হবে।পরিশেষে একটা উদাহরণ দিয়ে বলা যেতেই পারে, আমরা অবলীলাক্রমে অক্সিজেন গ্রহণ করি আর কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করি কিন্তু যেদিন বাতাস অক্সিজেন বন্ধ করে দেবে, সেদিন আমরা বুঝতে পারবো অক্সিজেনের কদর কতখানি। তাই এখনো সময় আছে মানুষ তাদের শুভবুদ্ধি কে জাগ্রত করুক।আর যদি জাগ্রত না করে তাহলে কালিদাসের গল্প টা তো আমাদের জানা আছে।
সম্পাদক: মাসুদূর রহমান.
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে দেশের নীতি আয়োগ এর এক রিপোর্ট ১৩০কোটি দেশবাসীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। কি ছিল সেই রিপোর্টে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশের ২১টি বড় বড় শহরে ভূগর্ভস্থ জল শেষ হয়ে যাবে এবং ১০কোটি মানুষ সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। শুধু তাই নয় ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ পানীয় জলের সংকটে পড়বে।
এই মুহূর্তে দেশের প্রথম সারির কয়েকটি রাজ্যে অনাবৃষ্টির জন্য খরার সম্মুখীন ও হয়েছে। সেই তালিকায় বাদ পড়েনি পশ্চিমবঙ্গ ও।পঞ্জিকা অনুসারে আষাঢ় শ্রাবণ মাস বর্ষাকাল।কিন্তু শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহ পার হতে যাচ্ছে এখনো দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টির তেমন কোনো দেখা নেই।আবার উল্টোদিকে অপর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি।এই অসমতা কেন?কেই বা এর জন্য দায়ী?
বিজ্ঞানীরা বলছেন ভুগর্ভ থেকে যে জল মানুষ তুলছে সমপরিমাণ জল তা সে বৃষ্টির জল হোক বা নিত্য ব্যবহারের জলি হোক, সেই জলকে যদি ভূগর্ভে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া যায় তাহলে সমতা ফিরে আসবে।এছাড়া সর্বোপরি মানুষকে হতে হবে সচেতন। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধবে কে? যদি জল সম্পর্কে সচেতন না হওয়া যায় তাহলে সেদিন খুব দূরে নেই যেদিন গোটা পৃথিবীকেই জলের সংকটে পড়তে হবে।পরিশেষে একটা উদাহরণ দিয়ে বলা যেতেই পারে, আমরা অবলীলাক্রমে অক্সিজেন গ্রহণ করি আর কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করি কিন্তু যেদিন বাতাস অক্সিজেন বন্ধ করে দেবে, সেদিন আমরা বুঝতে পারবো অক্সিজেনের কদর কতখানি। তাই এখনো সময় আছে মানুষ তাদের শুভবুদ্ধি কে জাগ্রত করুক।আর যদি জাগ্রত না করে তাহলে কালিদাসের গল্প টা তো আমাদের জানা আছে।
সম্পাদক: মাসুদূর রহমান.