করোনা গোপন কথাটি - BBP NEWS

Breaking

রবিবার, ৩ মে, ২০২০

করোনা গোপন কথাটি



 মাসুদুর রহমান

বাংলায় কোভিড-19 এর বীজ বপন করেছিল রাজ্য সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এর দুধেভাতে সন্তান। সেদিনও সেই প্রভাবশালী পুত্র তার প্রভাব খাটিয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শকে উড়িয়ে নবান্ন থেকে শুরু করে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে কোভিড-19 এর বংশবিস্তারের পথ প্রশস্ত করেছিল। শুধু তাই নয় ওই খামখেয়ালি লাডলা সহ সরকারি দম্পতি পুত্রের বিদেশ থেকে প্রত্যাগমনের তথ্যও করেছিল গোপন। দিন যায় সপ্তাহ যায় মাস যায়, আর আজ দিন যেতে যেতে ৪৫ দিন অতিবাহিত করলো করোনা আক্রান্ত বাংলা। আজও সমান্তরালভাবে চলছে সেই তথ্য গোপনের ধারাবাহিকতা। তফাৎ শুধু একটাই, প্রথম অবস্থায় ছিল সরকারি আধিকারিক, আজ খোদ রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন এই তথ্য গোপনের ফন্দিফিকির? এই তথ্য গোপন করে কার বা লাভ?আর সঠিক তথ্য পরিবেশন করলেই কার বা হত লোকসান?

বাংলায় সরকার পরিবর্তনের পর সারা বাংলা জুড়ে বড় বড় হোডিংয়ের নিচে লেখা থাকতে দেখা গেছে 'সততার প্রতীক' বলে। যদিও বা বেশ কিছুদিন হলো সেই লেখা এখন সেরকম নজরে পড়ে না। তার পরিবর্তে এখন ছয়লাপ হয়েছে 'বাংলার গর্ব …। 'তাই যদি হবে তাহলে তথ্য গোপনে এত অসততা কেন? সেখানে কি গর্বের বাংলা কালিমা লিপ্ত হয় না?এই পরিসংখ্যান গোপনে বিরোধীরা সোচ্চার হতেই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পর্যবেক্ষণ করতেই আসল সত্য সামনে আসে। যা দেখে বাংলার মানুষের চক্ষু চড়কগাছ। গোটা কলকাতা আগুনের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। বাংলার এই কৃষ্টি-সংস্কৃতি তো নয়, সেটা বর্তমান রাজ্য সরকার গর্বের সাথে উচ্চারণ করে থাকে। তাহলে এখানেই প্রশ্ন, বাংলার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া কি এদের কৃষ্টি? সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করাই কি সংস্কৃতি? কবিগুরু স্বয়ং তাঁর গানে বলেছেন, "গোপনো কথাটি রবে না গোপনে….।" একদিন সত্য উদঘাটন হবে,কিন্তু সেদিন হয়তো বড্ড দেরি হয়ে যাবে। তখন হয়তো অনেক কিছু করার থাকলেও কিছুই করার থাকবেনা।

ছবি: সংবাদ সংস্থা।

Pages