লকডাউন ও বৃষ্টির সাঁড়াশি চাপ, কৃষকের মাথায় হাত - BBP NEWS

Breaking

রবিবার, ৩ মে, ২০২০

লকডাউন ও বৃষ্টির সাঁড়াশি চাপ, কৃষকের মাথায় হাত

পাভেল রহমান,কলকাতা: রবি চাষের শেষে ফসল তোলার সময় প্রবল বৃষ্টির সম্মুখীন হয় বাংলার চাষী মহল। আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টি তে মাঠের ফসল মাঠেই পড়ে থাকে। যদিও বা সেই ফসল যৎকিঞ্চিৎ তুলতে সমর্থ হল কৃষক, তার সাথে সাথে বাংলার আকাশে করোনা ভাইরাসের সিঁদুরে মেঘ দেখা দিল। আস্তে আস্তে সেই মেঘ পঞ্চভূত হলো। একে তো বৃষ্টির জন্য ফসল নষ্ট। তার ওপর করোনা  ভাইরাসের মত  মারণ ব্যাধির জন্য লকডাউন।এই দুই জোড়া ফলায় আলুর দামে ধাক্কা খেলো কৃষক। ফলস্বরূপ চাষীদের মস্তকে পাহাড় ভেঙে পড়ার উপক্রম।
 এদিকে লকডাউন দীর্ঘায়িত হতে থাকলো। মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার হলো। চাষের কাজ একপ্রকার বন্ধই হয়ে গেল‌। এরই মাঝে শীতের শেষে গ্রীষ্মের ধান রোপন করা হয়ে গেছে‌।শুধু তাই নয় এর সাথে ছোট চাষী থেকে শুরু করে বড় চাষী, যাদের সারাটা বছর নির্ভর করে থাকতে হয় কাঠা ফসলি চাষের মুখ চেয়ে।যার মধ্যে ঝিঙে ঢেঁড়স বরবটি যেমন আছে তেমনি আছে বেগুন লাউ তরমুজসহ নানান ধরনের শাক।নমো নমো করে চাষিরা যদিও বা সার জল দিয়ে,সর্বোপরি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই ফসলকে বড় করল। কিন্তু ফসল তোলার সময় আর এক যন্ত্রণার সম্মুখীন হল চাষী। ধান কাটাই ঝাড়াই এর জন্য শ্রমিক পাওয়া যায় না,কাঠা ফসল যেমন ঝিঙে বরবটি বেগুন বিক্রি করলেও দাম পাওয়া যায় না। কেননা লকডাউনে বাজার বন্ধ। এর পাশাপাশি তিল পাট বাদাম অধিক বৃষ্টির ফলে মরেও যেতে বসেছে।
 যদিও বা রাজ্য সরকারের বদান্যতায় লকডাউন কিছুটা শিথিল হলো।তার সাথে নতুন করে হাজির হলো টানা ঝড় বৃষ্টি।আর তাতেই চাষীদের শেষ আশাটুকুও মাটি হয়ে গেল।এহেন পরিস্থিতিতে চাষীদের একটাই কথা,"কবে করোনাভাইরাস শেষ হবে,কবে লাকডাউন উঠবে,তবেই আমরা ফসলের দাম পাবো। তার ওপর বৃষ্টি আমাদের শেষ করে দেওয়ার বাকি কাজটা করে দিয়ে গেল।" আবার কেউবা বলছেন, 'যদি ফসল আর চাষী না বাঁচে, তাহলে দেশ বাঁচবে কি করে?"

Pages