দুঃস্থ সিনে টেকনিশিয়ানদের পাশে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়াতে এগিয়ে এলেন "বিষ্ণু'স সিনে"এক্টিং স্কুল - BBP NEWS

Breaking

বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২১

দুঃস্থ সিনে টেকনিশিয়ানদের পাশে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়াতে এগিয়ে এলেন "বিষ্ণু'স সিনে"এক্টিং স্কুল



বিবিপি নিউজ,রাজকুমার দাস: ইতিহাস তৈরী করা বাংলার প্রথম মেগা ধারাবাহিক"জননী"-র কথা এখনো নস্টালজিক করে দেয় বাংলার ধারাবাহিক দর্শকদের।বিশেষ করে বাংলার মা বোনেদের কাছে এই ধারাবাহিক ছিল তাঁদের মনের সাথে মিল খুঁজে পাওয়ার গল্প।আর তার সঙ্গে ছিল একমাত্র বাংলা বিনোদনের চ্যানেলের টি আর পি  বাড়িয়ে রাতারাতি দর্শকদের ভালোবাসা আদায় করা।যা করে দেখিয়েছিলেন পরিচালক বিষ্ণু পাল চৌধুরী।এখন তিনি নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান তা বলাই বাহুল্য।যাক সম্প্রতি তিনি দঃ কলকাতায় তার সৃষ্টি শিল্পকে বিস্তারিত সকলের কাছে পৌঁছে দিতে অভিনয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে "বিষ্ণু'স সিনে"-দা এক্টিং এন্ড ফিল্ম মেকিং স্কুলের  যাত্রাপথ শুরু করেছেন।কচি কাঁচা স্টুডেন্টদের নিয়ে তার অভিনয় শিক্ষা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন অভিনেতা রাজেশ শর্মা।সাথে দেবদূত ঘোষ ও আছেন।একমাস ও বয়স হয়নি এই প্রতিষ্ঠানের।এটি মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচালক বিষ্ণু পাল চৌধুরী মহাশয় ঘোষণা করেন তার এই শিক্ষা কেন্দ্রের তরফে প্রতি মাসে একজন বৃদ্ধ দুঃস্থ অসহায় সিনে টেকনিশিয়ান দের পাশে আর্থিক সাহায্য করবে।প্রথম বার তার প্রতিষ্ঠানের তরফেপ্রায় পাঁচ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হবে টেকনিশিয়ান শ্রী অনিল ঘোষ মহাশয় কে।যিনি সত্যজিৎ রায়ের প্রায় বেশীর ভাগই ছবিতে শর্ট এর ফোকাস নিখুঁত ভাবে করতেন নিজের চোখে।কিন্তু বর্তমান তিনি এখন তেমন চোখে দেখতেই পান না।ভুলতে বসেছে মানুষ,ভুলতে বসেছে ইন্ডাস্ট্রি র সকলে।তাঁদের খবর নেওয়ার লোক নেই,নেই পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতা।সেই দিক থেকে বিষ্ণু পাল চৌধুরী ও তার অভিনয় শিক্ষা কেন্দ্র র ছাত্র ছাত্রীরা যে ভাবে এগিয়ে আসছে তাতে পুণ্যের ভান্ডার বাড়ছে।এই প্রয়াস মানুষকে ভাবাতে সাহায্য করবে।অনীল ঘোষের মতো এমনি কত টেকনিশিয়ান হারিয়ে যাচ্ছে তাঁদের স্মৃতিকে আগলে নিয়ে;হয়তো একরাশ অভিমান নিয়ে।শেষের দিকে হলে ও কেউ যে তাঁদের কথা ভাবছে,পাশে আছে এটাই অনেক।এগিয়ে চলুক এই প্রয়াস।শুভেচ্ছা রইল

Pages