বিবিপি নিউজ: পরপর পাঁচটি বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বিমানবন্দর। চোখের সামনেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় অর্ধশতাধিকের বেশি দেহ। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে দেড়শতাধিক। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেশ কয়েকজন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জন। মৃতদেহ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
হামলার আশঙ্কা আগেই ছিল। ৩১ অগস্ট উদ্ধারকার্যের শেষদিন বেঁধে দেওয়ার পরই তড়িঘড়ি নাগরিকদের নিজেদের দেশে ফেরানো হচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরেই আত্মঘাতী হামলা হতে পারে, গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর মেলে। আমেরিকা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার তরফে সতর্কতা জারি করে বলা হয়, কেউ যেন বিমানবন্দরে না আসেন। যারা বিমানবন্দরের গেটের বাইরে রয়েছেন, তারাও যেন দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। সতর্ক করা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হল না। মার্কিন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গতকালের একাধিক বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে, স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে কীভাবে বিমানবন্দরের কাছেই অবস্থিত একটি খালের ধারে ছিন্নভিন্ন হয়ে দেহগুলি পড়ে রয়েছে। কারোর মাথা আছে তো, হাত-পা নেই। আবার কারোর দেহটাই চার টুকরো হয়ে গিয়েছে। চেনার উপায় নেই অধিকাংশকেই। প্রথম বিস্ফোরণের পরই সন্দেহের তির তালিবানের দিকে গেলেও তারা সাফ জানিয়ে দেয়, এই হামলার পিছনে তাদের হাত নেই। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের দাবি, আইসিস-কে (ISIS-K) এই হামলা চালিয়েছে। আগামি দিনে জঙ্গিরা যাতে কোনও ভাবেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য আফগানিস্তানের মাটিকে না ব্যবহার করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে তালিবান গোটা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।এ দিকে, তৃতীয় বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে আইসিস-কে। তাদের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়, একজন আত্মঘাতী বোমারুকে পাঠানো হয়েছিল মার্কিন বাহিনীর উপর হামলা চালানোর জন্য। হোয়াইট হাউসের তরফেও জানানো হয়েছে, এর পাল্টা জবাব দেওয়া হবে।