বিবিপি নিউজ: ফ্রিজে মাংস নয় ছিল মাছ। প্রায় আড়াই বছর জেল খাটার পর অবশেষে বেকসুর খালাস পেলেন হোটেল ব্যবসায়ী। নিম্ন আদালতের নির্দেশে ৫ বছরের জন্য জেল সাজা শোনানো হয়েছিল স্বরূপ সেন নামক ওই হোটেল ব্যবসায়ীকে। তাঁর বিরুদ্ধে পচা মাংস রাখার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু আড়াই বছর শুনানির পর জানা গেল, পচা মাংস নয়, মাছ রাখা ছিল। এরপরই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে আদালত। আজ থেকে বছর তিনেক আগে ২০১৮ সালে রাজ্যে ভাগাড় কান্ডে তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা বাংলা। টাটকা মাংসের নামে কয়েক দিনের পুরনো পচা মাংস বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তদন্ত চালিয়ে জানা যায়, এই কাণ্ডের পিছনে প্রধানত কাজ করছিল বনগাঁর মাংস বিশু। তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও পরবর্তী সময় সে বেকসুর খালাস হয়ে যায়। অথচ যে ব্যবসায়ী আসলে কোনও দোষ করেননি, তাঁকে আড়াই বছর জেল খাটতে হল। তবে শেষ পর্যন্ত মুক্তি অবশ্য মিলেছে।২০১৮ সালে যে সময় ভাগাড় কাণ্ডের জেরে চারিদিকে হইচই পড়ে গিয়েছে, সেই সময় বনগাঁর ওই ব্যবসায়ীর হোটেলে রেড করে পুরসভা। এরপরই স্বরূপ সেন নামক ওই ব্যবসায়ীর দোকান থেকে পচা মাংস উদ্ধার করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বনগাঁর নিম্ন আদালত ৫ বছরের জেল সাজা শোনায়। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যবসায়ী। মামলাটির শুনানির পর এদিন আদালত স্বরূপ সেনকে বেকসুর খালাস করে। জানা যায়, পচা মাংস নয়, মাছ রাখা ছিল হোটেলে। তাঁকে মুক্তি দেয় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ। বনগাঁ আদালতের রায় খারিজ করার পাশাপাশি দ্রুত স্বরূপ সেনকে জেলমুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।