বিবিপি নিউজ: যোগীরাজ্য লখনউয়ে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের শিকার হলেন তরুণী। শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। চলন্ত গাড়ির মধ্যে তাঁকে ধর্ষণ করে তিন যুবক। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জনের হাসপাতাল চত্বরে ফুটপাতে চায়ের দোকান রয়েছে। অন্যজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। নির্যাতিতার বাবা যোগী সরকারের একজন পদস্থ কর্মী। এই ঘটনায় ফের চোখে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের নিরাপত্তা কতটা ঠুনকো।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী লখনউয়ের একটি নামী কলেজের পড়ুয়া। তিনি নিয়মিত লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে মানসিক সমস্যার চিকিৎসা করাতে আসতেন। সেই সূত্রে হাসপাতালের ফুটপাতে সত্যম নামে এক চা বিক্রেতার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। গত ৫ ডিসেম্বরও ওই তরুণী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে ওই যুবকের দোকানে যান। তখন তাঁর ফোনে চার্জ ছিল না। অভিযুক্ত সত্যমকে সেকথা জানান। সত্যম তখন অ্যাম্বুলেন্সে মোবাইলটি চার্জ দিয়ে দেবে বলে জানায়। সেকথা বিশ্বাস করেন তিনি। এরপর তরুণীকে হাসপাতাল চত্বর থেকে কিছুটা দূরে ডালিগঞ্জে নিয়ে যায় ওই যুবক। কিন্তু সেখানে কোনও অ্যাম্বুলেন্স ছিল না। তখন তাঁকে ফুঁসলিয়ে আইটি মোড়ের কাছে নিয়ে যায়।
এদিকে আইটি মোড়ে একটি চায়ের দোকানে সত্যমের পূর্ব পরিচিত দুই যুবক বসেছিল। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স সেখানে ছিল না। তিন অভিযুক্ত ভুল বুঝিয়ে তরুণীকে একটি গাড়িতে তোলে। তাঁকে সফেদাবাদে একটি ধাবায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাদক খাইয়ে তাঁকে বেহুঁশ করে ফের গাড়িতে তোলে। হাইওয়েতে নিয়ে গিয়ে চলন্ত গাড়ির মধ্যেই গণধর্ষণ করে। এরপর ইন্দিরানগরের কাছে তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। এই ঘটনার পাঁচদিন পর অর্থাৎ রবিবার ওই তরুণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যম মিশ্র, সুহেল এবং আসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে নির্যাতিতা ঘটনার পাঁচদিন পর কেন পুলিসের দ্বারস্থ হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।