বিবিপি নিউজ: হাসপাতালের কোয়ার্টারে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার চিকিৎসকের। রবিবার রাতে তাঁর কোয়ার্টার থেকে গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয়েছে তার পরিবারে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই চিকিৎসকের মায়ের মৃত্যু হয়েছে আজ সোমবার তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ছিল। তাঁর আগেই রবিবার রাতে চরম পথ বেছে নেন চিকিৎসক। যদিও সেই কারণেই চিকিৎসক অবসাদে ছিলেন নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের মর্গে। ময়নাতদন্তের পরেই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।
চিকিৎসকের আত্মহত্যার পিছনে কী কারণ রয়েছে সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য জানার পাশাপাশি কর্মস্থলে কোনও সমস্যা ছিল কিনা সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।
জানা যায়, শিলিগুড়িতে বদলি হয়ে গেলেও ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের কোয়ার্টার ছাড়েননি তিনি। সেখানেই বসবাস করছিলেন চিকিৎসক। এই কোয়ার্টার থেকে চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা করে পুলিশ। চিকিৎসক যে অবসাদে ভুগছিলেন সে বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত পুলিশ। মৃত্যুর ঠিক আগের মুহূর্তেই চিকিৎসক ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। সেই পোস্টে হতাশা চোখে পড়ে। জানা গিয়েছে, চিকিৎসকের ফেসবুক পোস্ট দেখার পরে তৎপর হয় পুলিশ। এরপর কোয়ার্টারে এসে চিকিৎসকের খোঁজ শুরু করে। তখনই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কী কারণে চিকিৎসক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।