বিবিপি নিউজ: চারদিনে পাঁচ মৃত্যু এ রাজ্যে। নেপথ্যে গণপিটুনি। এ বাংলা দু-ধরণের ঘটনা দেখেছে বিগত কয়েক সপ্তাহে এক, স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছেন আর দুই, বাহুবলীরা শাসক দলের মদতে কখনও সালিশি সভা ডেকে আবার কখনও একজোট হয়ে গণপিটুনি দিয়েছেন সাধারণ মানুষ বা বিরোধীদের। শয়ে শয়ে মানুষ দর্শক হয়ে দেখেছেন এই মর্মান্তিক ছবি।
রাজ্যের মানচিত্রে শাহজাহানের জন্য তো উজ্জ্বল হয়েছে হয়েছে সন্দেশখালির নাম। পাশাপাশি জেসিবি আর জয়ন্তর দাদাগিরিতে আবার উঠে এসেছে চোপড়া আর আড়িয়াদহের নাম। সালিশি সভায় গণপ্রহার করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। বাদ পড়েননি বয়স্করাও। সরাসরি রাজনৈতিক মদতের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন বা আইনের শাসন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনার পর। আর অন্যদিকে সাধারণ মানুষের কি ভরসা উঠছে পুলিশ বা প্রশাসনের ওপর? নাহলে পর পর বৌবাজার, সল্টলেক,পাণ্ডুয়া, তারকেশ্বর, ঝাড়গ্রামে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে!
বৌবাজারে সরকারি হোস্টেলে মোবাইল চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে ৪৭ বছরের এরশাদকে। একই ছবি সল্টলেকে, গুজবের জেরে প্রাণ দিতে হয়েছে তরুণকে। আবার সেই মোবাইল চুরির গুজব! এই ঘটনা গুলিই মনে করিয়েছে দশ বছর আগের এক ঘটনার কথা। নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে মোবাইল চোর সন্দেহে কোরপান শাহের মৃত্যু। আজও বিচার পাননি কোরপান। এ বার বিচার মিলবে কি? কিন্তু কেন চারদিকে পর পর ঘটছে এই ঘটনা? কেন মানুষ আইন তুলে নিচ্ছেন নিজের হাতে? কেন মানুষ হয়ে উঠছেন হিংস্র? আর এরকমই যদি চলে তাহলে তথাকথিত সভ্য সমাজের লেবেল ধরে রাখা কী সম্ভব হবে? বাঁচার পথ কী? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই _*TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘জনরোষে গণপিটুনি?’। ৭ জুলাই রবিবার রাত ১০ টায়।