বিবিপি নিউজ: সোমবার পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। এরপরেও চলতে থাকে ধ্বংসলীলা। একের পর এক জায়গায় জ্বলে আগুন। কখনও থানায় তো আবার কখনও এমপিদের বাসভবনে। লুটপাট চলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে। এমন পরিস্থিতিতে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে।
আরও দেখুনঃ কাকভোরে উল্টোডাঙার কারখানায় আগুন,দমকলের ৮টি ইঞ্জিনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পরই আজ ভোর ৬টা থেকে শিথিল করা হয়েছে কার্ফু। আজ থেকে বাংলাদেশের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি অফিস ও আদালত খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও দেখুনঃ শ্রীলঙ্কান কায়দায় দখল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, লুটপাট গণভবনে
সোমবার নোয়াখালীর দুটি থানায় আগুন। পুলিশের গুলিতে অন্তত তিন ব্যক্তির মৃত্যু হল। নিহত হয়েছেন দুই পুলিশকর্মীও। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও প্রায় জনা পঞ্চাশেক। বরিশালের আওয়ামি লিগ শাখার সাধারণ সম্পাদক তথা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি লাশ। তবে ঘটনার সময় সাদিক আবদুল্লাহ বাড়িতে ছিলেন না।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই বাংলাদেশে কারফিউ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এদিন রাতে বাংলাদেশ সেনাাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে। সব অফিস, আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা খুলে যাবে।আপাতত সেনার হাতেই বাংলাদেশের শাসনভার। ঘটনাবহুল সোমবার মধ্য রাতেও বড় চমক। বিশেষ ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। মধ্য রাতে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে পর আগামী জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা করেন।