বিবিপি নিউজ: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষন -খুন কান্ডে গোটা দেশ জুড়ে উত্তাল। এবার সেই আঁচ খেলার ময়দানে। 'জাস্টিস ফর আরজি কর' স্লোগান তুলে যুবভারতীর সামনে জমায়েত করলেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ও মোহামেডানের সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের উপর পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের। অবরুদ্ধ ইএম বাইপাস।
ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে উত্তাল। 'We Want Justice' স্লোগান ওঠার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। নিরাপত্তার কারণে শেষপর্যন্ত বাতিল হয়ে গেল ডার্বি, তখনও প্রতিবাদের সিদ্ধান্তে অনড় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। অশান্তির আশঙ্কায় যুবভারতীর বাইরে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ। কিন্তু প্রতিবাদ থামানো গেল না।
রবিবার বিকেলে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই যুবভারতীর সামনে জমায়েত করেন মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল ও মোহামেডানের সমর্থকরা। বিভিন্ন দিকে রীতিমতো মিছিল করে যুবভারতীর দিকে আসতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর পুলিশ যখন জমায়েত সরানোর চেষ্টা করেন, তখন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে বিক্ষোভকারীদের। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে। সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হন তিনি। কল্যাণ বলেন, 'পৃথিবীর কোথাও ফুটবল সমর্থকদের কখনও গ্রেফতার করা হয়নি। ভারতের ফুটবলের জন্য খুবই লজ্জার ঘটনা। যত পুলিশের কারনে এই ম্যাচটাকে আটকে দেওয়া হয়েছ, ম্যাচ দেখতে যে সমর্থকরা এসেছিলেন, তাঁদের গ্রেফতার করতে যে সংখ্যক পুলিশ দেওয়া হয়েছে, তার অর্ধেক পুলিশ দিলে ম্যাচটা হয়ে যেত'। বিক্ষোভে স্লোগান ওঠে "এক হয়েছে বাঙাল-ঘটি, ভয় পেয়েছে হাওয়াই চটি।"