বিবিপি নিউজ: কথায় বলে পুরষ্কার হল কাজের প্রশংসাপত্র। সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা সমাজের আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। কারণ তাঁদের কাজে সমৃদ্ধ হয়েছে সমাজ তথা মানুষ। সেই সমস্ত মানুষকে সম্মান জানাতেই সম্প্রতী দশভুজা সম্মান ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কলকাতা সায়েন্স সিটিতে।
শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, পেশায় একজন শিক্ষিকা। তিনি পুরুলিয়া জেলায় বেড়ে ওঠার সময়, সরকারী পদমর্যাদার লোভ এবং মানুষের দুর্ভোগ দেখেছেন। কারণ পুরুলিয়া অত্যন্ত খরাপ্রবণ জেলাগুলির মধ্যে একটি। যেখানের উন্নয়নের আঁচ পৌঁছে যেতেও শেষ হয়ে যায় প্রহর। তাই সেখানকার মানুষের জীবন কতটা অস্তিত্বহীন বুঝেছিলেন তিনি। সে কারণেই শৈশবকাল থেকেই, তিনি একটি স্বপ্ন লালন করেছিলেন যে, একদিন তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নয়, শুধুমাত্র মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে, অসহায়দের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবেন। ২০১৫ সালে সেই একই স্বপ্ন লালিত চোখ দেখলেন আর এক তরুণ সৌরভ ভট্টাচার্যের মধ্যে। তখন থেকেই কেবল মাত্র নিজেদের উদ্যোগে শুরু হয় পথের দিশারি-র পথ চলা।
২০১৫ সালে গড়ে উঠেছিল এই পথের দিশারী। যার প্রধান কাণ্ডারি শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জী। তাঁর কথায়, পথের দিশারীর প্রাধান ভূমিকা ছিল পুরুলিয়ার শবর জাতির শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়া। লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনীয় খাবার ও সামগ্রী পৌছে দেওয়া। কিন্তু সেখানের মানুষের আরও কাছে পৌছে যায় পথের দিশারি।আস্তে আস্তে শবরদের শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে পুরুলিয়া জেলা জুড়ে প্রায় সাতটি স্কুল চালায় পথের দিশারী। পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্বল মানুষদের জন্য নানান দিক থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পথের দিশারী।
সম্মাননা পাওয়ার পর শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জী জানান, এই সম্মান পথের দিশারীকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে। বারবার আমরা নিজেদের উদ্যোগে চেষ্টা করেছি ওই প্রান্তীক মানুষ গুলিকে আলোতে আনার। সফলতা তখন পেয়েছি যখন পথের দিশারির হাত ধরে ভারতী মুর্ম, বাসন্তী মাহাতো-র মতো ক্রীড়াবিদ দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলে। এই সম্মাননায় সমৃদ্ধ পথের দিশারি।