ফ্লাট বাড়িতে টবে ফুলের গাছ লাগান খুব সহজেই, সবুজায়ন - BBP NEWS

Breaking

রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯

ফ্লাট বাড়িতে টবে ফুলের গাছ লাগান খুব সহজেই, সবুজায়ন

বিবিপি নিউজ: পৃথিবীতে ফুলের মতো সুন্দর পবিত্র কোনো কিছুই নেই। কিন্তু সেই সুন্দরকে কাছে রেখে উপভোগ করার সৌভাগ্য কয় জনেরই বা হয়?

 বিশেষ করে যারা শহরে থাকে তাদের তো গাছ লাগানোর উপযুক্ত ক্ষেত্রেই নেই।

ফ্ল্যাট বা বিল্ডিংয়ের ছাদ, ব্যলকনি অথবা বারান্দা, না হয় সিঁড়ি ঘরটাই ভরসা।

সেখানে তো আর মাটি নেই। মাটি ছাড়া ফুলগাছ কেমন করে হবে?

তাই টবে মাটি রেখে তার ভেতর  ফুলগাছ লাগিয়ে প্রকৃতির সবুজ আভা পাওয়া যেতে পারে।

কিন্তু মুশকিল ও আছে সেক্ষেত্রে, সব ফুলের গাছ আবার টবে ভালো হয় না।

 বিশেষ করে বৃক্ষজাতীয় দীর্ঘজীবী ফুলগুলো টবে বেশি না লাগানোই ভালো।

বিভিন্ন মৌসুমি ফুল টবের জন্য সবচেয়ে ভালো। তবে যে ফুলগাছই লাগানো হোক না কেন সেগুলো যেন রোদ পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।




 একটু হিসাব করে পরিকল্পনামতো টবে ফুলগাছ লাগালে সারা বছরই কিছু না কিছু ফুলের দেখা পাবেন।

টবে কী কী ফুলগাছ লাগাবেন  গ্রীষ্ম কাল  টবের জন্য বেছে নিতে পারেন গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা, সুর্যমুখী, জিনিয়া, পিটুনিয়া, সিলোসিয়া বা মোরগঝুঁটি, দোপাটি ইত্যাদি।

বর্ষার ফুল হিসেবে টবের জন্য ভালো হবে বেলি, জুঁই, চাঁপা,  তুষারমোতি , দোপাটি, জিনিয়া, সুর্যমুখী (ছোট), স্থলপদ্ম, মালতীলতা প্রভৃতি।



শীতকালে টবে লাগাতে পারেন গাঁদা, গোলাপ, প্যানজি, পিটুনিয়া, ক্যামেলিয়া, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কারনেশন, স্যালভিয়া, গোলাপ, জারবেরা, এজালিয়া ইত্যাদি।

 সারা বছর ফোটে এমন ফুলের মধ্যে রয়েছে কাঞ্চন (সাদা), জবা, কামিনী, করবী, গাঁদা, অলকানন্দা বা অ্যালামন্ডা, জয়তী বা জ্যাট্রোফা, হাজারপুটিয়া, নয়নতারা, সন্ধ্যামালতী বা সন্ধ্যামণি ইত্যাদি।

 কয়েক বছর বাঁচা স্থায়ী স্বভাবের গাছগুলো হলো বেলি, জুঁই, বাগানবিলাস বা বোগেনভিলা, গোলাপ, জবা, করবী, গন্ধরাজ, কাঞ্চন, কুন্দ, চাঁপা, মুসেন্ডা, কামিনী, অ্যালামন্ডা, স্থলপদ্ম, পোর্টল্যান্ডিয়া, ব্রানফেলসিয়া, ক্যামেলিয়া, টগর, শিউলি, পয়েনসেটিয়া।

ছাদে বাগানের জন্য এসব গাছ ভালো এই বর্ষাতেই এসব গাছের চারা জোগাড় করে লাগিয়ে ফেলতে পারেন।

তবে কোনো পুষ্কপ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে গাছ করার জন্য প্রদর্শনীর নির্ধারিত দিনের সঙ্গে নির্বাচিত গাছের প্রয়োজনীয় সময়ের হিসাব করে নিতে হবে।

টবে ফুলগাছ লাগাবেন কীভাবে :-

প্রথমে গাছের সঙ্গে মানানসই সাইজের টব সংগ্রহ করতে হবে। তবে ছোট গাছের জন্য বড় টব হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু বড় গাছের জন্য ছোট টব চলবে না।

প্রতি টবের জন্য দোআঁশ অথবা এঁটেল মাটির সঙ্গে তিন ভাগের এক ভাগ পরিমাণ জৈব সার বা পচা গোবর মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে।

 এর সঙ্গে চুন, ছাই মেশাতে পারলে ভালো হয়। এতে টবের মাটি দীর্ঘদিন উর্বর থাকবে।


মৌসুমি ফুলের ক্ষেত্রে মাসখানেক বয়সের ফুলের চারা টবে রোপণ করা উচিত।

 অন্যান্য মরসুমের ফুলের চারার বেলায় অল্পবয়সী ভালো ও তরতাজা, দেখে চারা বা কলম লাগানো ভালো।

 চারা লাগানোর পর আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে গোড়ার মাটি শক্ত করে দিতে হবে। লাগানোর পর গোড়ায় জল দিতে হবে।

গাছকে খাড়া রাখার জন্য ছোট স্টিক দিয়ে ঠেক দিতে হয়। গাছের চারা অবস্থা থেকেই এ ব্যবস্থা করতে হয়।

সদ্য লাগানো ফুলের চারা কয়েক দিন ছায়ায় রেখে সহনশীল করে নিতে হয়। এমন স্থানে রাখতে হবে যাতে সকালে ও বিকেলে সূর্যের আলো পড়ে।

টবে গাছের গোড়ার মাটি একেবারে গুঁড়ো না করে চাকা চাকা করে নিড়ানি দিয়ে দেওয়া ভালো।
 এটি  প্রতি ১০ দিনে একবার করে করতে হবে।

কুঁড়ি আসার লক্ষণ প্রকাশ পেলে ৫০ গ্রাম টিএসপি (কালো সার), ১০০ গ্রাম ইউরিয়া (সাদা সার)  একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতি গাছে এক চা-চামচ করে ১০ দিন অন্তর দিতে হবে।

 তবে এক মৌসুমে এই রাসায়নিক সার তিনবারের বেশি দেওয়ার দরকার নেই।

রাসায়নিক সার ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সার কোনো ক্রমেই শিকড়ের ওপর না পড়ে।

বেশি দিন ধরে ফুল ফোটাতে চাইলে গাছে কখনো ফুলগাছে  ফুল শুকাতে দিতে নেই।

 ফুল শুকানো শুরু হলেই ফুল কেটে দিতে হয়। এতে ভালো ফুল পাওয়া যায়। ফ্ল্যাট বাড়িতে সহজে সবুজায়ন

পৃথিবীতে ফুলের মতো সুন্দর পবিত্র কোনো কিছুই নেই। কিন্তু সেই সুন্দরকে কাছে রেখে উপভোগ করার সৌভাগ্য কয় জনেরই বা হয়?

 বিশেষ করে যারা শহরে থাকে তাদের তো গাছ লাগানোর উপযুক্ত ক্ষেত্রেই নেই।

ফ্ল্যাট বা বিল্ডিংয়ের ছাদ, ব্যলকনি অথবা বারান্দা, না হয় সিঁড়ি ঘরটাই ভরসা।

সেখানে তো আর মাটি নেই। মাটি ছাড়া ফুলগাছ কেমন করে হবে?

তাই টবে মাটি রেখে তার ভেতর  ফুলগাছ লাগিয়ে প্রকৃতির সবুজ আভা পাওয়া যেতে পারে।

কিন্তু মুশকিল ও আছে সেক্ষেত্রে, সব ফুলের গাছ আবার টবে ভালো হয় না।

 বিশেষ করে বৃক্ষজাতীয় দীর্ঘজীবী ফুলগুলো টবে বেশি না লাগানোই ভালো।

বিভিন্ন মৌসুমি ফুল টবের জন্য সবচেয়ে ভালো। তবে যে ফুলগাছই লাগানো হোক না কেন সেগুলো যেন রোদ পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 একটু হিসাব করে পরিকল্পনামতো টবে ফুলগাছ লাগালে সারা বছরই কিছু না কিছু ফুলের দেখা পাবেন।

টবে কী কী ফুলগাছ লাগাবেন  গ্রীষ্ম কাল  টবের জন্য বেছে নিতে পারেন গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা, সুর্যমুখী, জিনিয়া, পিটুনিয়া, সিলোসিয়া বা মোরগঝুঁটি, দোপাটি ইত্যাদি।

বর্ষার ফুল হিসেবে টবের জন্য ভালো হবে বেলি, জুঁই, চাঁপা,  তুষারমোতি , দোপাটি, জিনিয়া, সুর্যমুখী (ছোট), স্থলপদ্ম, মালতীলতা প্রভৃতি।

শীতকালে টবে লাগাতে পারেন গাঁদা, গোলাপ, প্যানজি, পিটুনিয়া, ক্যামেলিয়া, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কারনেশন, স্যালভিয়া, গোলাপ, জারবেরা, এজালিয়া ইত্যাদি।

 সারা বছর ফোটে এমন ফুলের মধ্যে রয়েছে কাঞ্চন (সাদা), জবা, কামিনী, করবী, গাঁদা, অলকানন্দা বা অ্যালামন্ডা, জয়তী বা জ্যাট্রোফা, হাজারপুটিয়া, নয়নতারা, সন্ধ্যামালতী বা সন্ধ্যামণি ইত্যাদি।

 কয়েক বছর বাঁচা স্থায়ী স্বভাবের গাছগুলো হলো বেলি, জুঁই, বাগানবিলাস বা বোগেনভিলা, গোলাপ, জবা, করবী, গন্ধরাজ, কাঞ্চন, কুন্দ, চাঁপা, মুসেন্ডা, কামিনী, অ্যালামন্ডা, স্থলপদ্ম, পোর্টল্যান্ডিয়া, ব্রানফেলসিয়া, ক্যামেলিয়া, টগর, শিউলি, পয়েনসেটিয়া।

ছাদে বাগানের জন্য এসব গাছ ভালো এই বর্ষাতেই এসব গাছের চারা জোগাড় করে লাগিয়ে ফেলতে পারেন।

তবে কোনো পুষ্কপ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে গাছ করার জন্য প্রদর্শনীর নির্ধারিত দিনের সঙ্গে নির্বাচিত গাছের প্রয়োজনীয় সময়ের হিসাব করে নিতে হবে।


টবে ফুলগাছ লাগাবেন কীভাবে :-

প্রথমে গাছের সঙ্গে মানানসই সাইজের টব সংগ্রহ করতে হবে। তবে ছোট গাছের জন্য বড় টব হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু বড় গাছের জন্য ছোট টব চলবে না।

প্রতি টবের জন্য দোআঁশ অথবা এঁটেল মাটির সঙ্গে তিন ভাগের এক ভাগ পরিমাণ জৈব সার বা পচা গোবর মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে।

 এর সঙ্গে চুন, ছাই মেশাতে পারলে ভালো হয়। এতে টবের মাটি দীর্ঘদিন উর্বর থাকবে।

মৌসুমি ফুলের ক্ষেত্রে মাসখানেক বয়সের ফুলের চারা টবে রোপণ করা উচিৎ।

Pages