বিবিপি নিউজ,নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে ২০১৪ সালের ২৪শে জুলাই দায়িত্বভার নিয়ে রাজভবনের অলিন্দে পা রাখেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তাঁর আগমন কালেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। কেননা তিনি ছিলেন সংঘ পরিবার তথা বিজেপির নেতা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তিনি যে বিজেপির কার্যকলাপ কে সমর্থন করবেন এটাই চিরন্তন সত্য ছিল। সে নিয়ে তাঁর এই ৫ বছরে নানান কার্যকলাপে প্রমাণও পাওয়া গেছে। সে নিয়ে অবশ্যই শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষই মাঝেমধ্যেই রাজ্যপালের কর্তব্য এবং দায়িত্ব বোধ কে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অবশেষে তার প্রমাণ পাওয়া গেল রাজ্যপালের বিদায় দিনে।
বিদায় বেলায় কোনরকম রাখঢাক না করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দিকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করে গেলেন। এদিন তিনি বলেন, "মমতার তোষণ নীতির জন্য সামাজিক সম্প্রীতি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাঁর সবার প্রতি সমমনোভাব পোষণ করা উচিত। রাজ্যের প্রতিটি অধিবাসীকে বৈষম্যহীন ভাবে এবং সম দৃষ্টিতে দেখতে হবে।"পাশাপাশি তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জোরালো মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, "আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি প্রয়োজন। আমি জানিনা, এখানে কেন মানুষ হিংসার পথ বেছে নেয়। এর পিছনে রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক কারণ থাকতে পারে। বাংলাদেশি অথবা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।" এছাড়া রাজ্যের অবাধ নির্বাচন ব্যবস্থার উপর সন্তুষ্ট না হয়ে তিনি বলেছেন,"এ রাজ্যে যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি বলেও অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশের ওপর তলার অফিসারেরা ভালো কিন্তু নিচুতলার পুলিশ কোন না কোন রাজনৈতিক দলের দিকে ঝুঁকে থাকেন। তাই নির্বাচনের কাজে মানুষের আস্থা অর্জনে তাঁরা ব্যর্থ।" পরিশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দূরদৃষ্টি'র ভূষসী প্রশংসার পাশাপাশি তাঁর 'আবেগ' কে সংযত করা নিয়ে রাজ্যের বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী মন্তব্য করেছেন, "মমতা বড় বেশি আবেগপ্রবণ তাঁর সংযত হওয়া প্রয়োজন।"
বিদায় বেলায় কোনরকম রাখঢাক না করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দিকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করে গেলেন। এদিন তিনি বলেন, "মমতার তোষণ নীতির জন্য সামাজিক সম্প্রীতি ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাঁর সবার প্রতি সমমনোভাব পোষণ করা উচিত। রাজ্যের প্রতিটি অধিবাসীকে বৈষম্যহীন ভাবে এবং সম দৃষ্টিতে দেখতে হবে।"পাশাপাশি তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জোরালো মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, "আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি প্রয়োজন। আমি জানিনা, এখানে কেন মানুষ হিংসার পথ বেছে নেয়। এর পিছনে রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক কারণ থাকতে পারে। বাংলাদেশি অথবা রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।" এছাড়া রাজ্যের অবাধ নির্বাচন ব্যবস্থার উপর সন্তুষ্ট না হয়ে তিনি বলেছেন,"এ রাজ্যে যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি বলেও অভিযোগ পেয়েছেন। পুলিশের ওপর তলার অফিসারেরা ভালো কিন্তু নিচুতলার পুলিশ কোন না কোন রাজনৈতিক দলের দিকে ঝুঁকে থাকেন। তাই নির্বাচনের কাজে মানুষের আস্থা অর্জনে তাঁরা ব্যর্থ।" পরিশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দূরদৃষ্টি'র ভূষসী প্রশংসার পাশাপাশি তাঁর 'আবেগ' কে সংযত করা নিয়ে রাজ্যের বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী মন্তব্য করেছেন, "মমতা বড় বেশি আবেগপ্রবণ তাঁর সংযত হওয়া প্রয়োজন।"