বিবিপি নিউজ, নিজস্ব সংবাদদাতা: বাস ভাড়া নিয়ে জট কাটার আগেই বারাসতের সরকারি তিতুমীর বাস স্ট্যান্ড থেকে বেসরকারি বাস উৎখাতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার রাতেই বেশ কিছু রুটের বেসরকারি বাস সরিয়ে সরকারি বাস চালানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বেসরকারি বাস না নামালে মালিকের সরকারি অনুমতিও বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলেই প্রশাসন জানিয়েছে। মঙ্গলবার যাত্রীদের সমস্যা সমাধানে জেলা পরিবহন দপ্তরের সদস্য গোপাল শেঠ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নিত্যযাত্রীরা যাতে সুষ্ঠ পরিষেবা পান সেই ব্যাবস্থা করতে দেখা যায়। কিন্তু বিকেল গড়াতেই। অফিস ফেরত যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। ওদিকে রাস্তায় সচল গুটিকয়েক সরকারি বাস ও কয়েকটা বেসরকারি বাস। ভরসা এখন ছোট গাড়ি, টেম্পো, ম্যাক্স, এবং বড় মালবাহী গাড়ি। আর যদিও একটা দুটো অটো মেলে তাতে আবার ভাড়া দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ । ফলে কার্যত সোমবারের মতই পথে বেরিয়ে নাকানি চোবানি খেতে হয়েছে যাত্রীদের। বাস ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বিক্ষোভ তো চলছিলই, আগে ভাগেই বাস মালিক রা জানান দিয়েছিল বাস ভাড়া না বাড়ালে সোমবার থেকে তাদের বাস চলবে না। সেই মতই সোমবার থেকে বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ ছিল, পরে সোমবার বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রাস্তায় বাস আটকে বিক্ষোভ দেখালেন বেসরকারি বাস মালিকরা। সেই আন্দোলন তুলতে এসে সোমবার সকালে পুলিশের নেতৃত্বের সঙ্গে বচসা হয় তাদের। এর ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফলে সোমবার সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
সোমবারের মত মঙ্গলবারও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সকাল বেলার দিকে সরকারি কিছু বাস রাস্তায় নামলেও তা যথেষ্ঠ ছিলনা বলে অভিযোগ পরিবহন দফতরের। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে বেসরকারি বাস মালিকদের দাবিতে আগামীতে যাত্রীদুর্ভোগ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে কয়েক দিন ধরেই বেসরকারি বাস সংগঠন ও সরকারের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছে। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় বেসরকারি সংগঠন। রাজ্য সরকারের তরফে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে না। পরিবর্তে ৬০০০ বেসরকারি বাসমালিককে প্রতি মাসে ১৫০০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এই বিষয়ে জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক বলেন আমরা তিন মাস লোকসান করেছে, এভাবে আর বেরোতে পারছি না। যখন বাস ভাড়া বাড়াবে না তখন আমাদের বাস বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই । বাধ্য হয়েই আমরা বাস নামাইনি যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়ে তিনি বলেন ওটা আমাদের ব্যাপার নয়। বিষয়টি সরকার বুঝবে অপরদিকে বিষয়টি জেলা আঞ্চলিক পরিবহন অধিকারিক বলেন কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে ।ওদের দাবি-দাওয়া উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে সরকারি বাস নামানো হয়েছে।