বিবিপি নিউজ: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা আরও দৃঢ় করতে আরও ১১ টি থানা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন থানা তৈরির সিদ্ধান্তে রীতিমতো সীলমোহর পড়েছে। আর এই ১১ টা থানার মধ্যে ৮ টি থানা রয়েছে বারাকপুর মহকুমায়। বাকি তিনটি থানার মধ্যে একটি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি কীর্ণাহারে, অন্য আরও দুটি রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ ও নাশকতা ঠেকাতে এসটিএফের অধীনে দু’টি থানা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে মন্ত্রিসভায়। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশে নতুন ৭৭৯টি পদ বাড়ছে।
মন্ত্রীসভার বৈঠকে বারাকপুর মহকুমায় যে আটটি থানা তৈরি হবে সেগুলি হল, হালিশহর, নাগেরবাজার, দক্ষিণেশ্বর, কামারহাটি, জেটিয়া, শিবদাসপুর, বাসুদেবপুর এবং মোহনপুর। যেমন বীজপুর থানা ভেঙে তৈরি হচ্ছে হালিশহর থানা। আবার দমদমে তৈরি হচ্ছে নাগেরবাজার থানা। ব্যস্ততম নাগেরবাজার মোড়ে কামারডাঙা ফাঁড়ি রয়েছে। সেখানেই ওই থানা তৈরি হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ওই থানা তৈরি হওয়ায় সাধারণ মানুষের খুব সুবিধা হবে। দমদম স্টেশন, শ্যামনগর, জ’পুর প্রভৃতি এলাকা থেকে বর্তমানে দমদম থানায় আসতে খুবই অসুবিধা হয়। নাগেরবাজারে নতুন থানায় তৈরি হলে সুবিধা হবে স্থানীয়দের। বেলঘরিয়া থানা ভেঙে হচ্ছে কামারহাটি ও দক্ষিণেশ্বর থানা। বেলঘরিয়া থানা এলাকা এত বড় যে এটিকে দু’টুকরো করা খুবই দরকার ছিল। কামারহাটি এলাকার জন্য আলাদা থানা তৈরি হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের সুবিধা হবে। সেখানেও একটি ফাঁড়ি রয়েছে। এভাবেই আটটি থানা ভেঙে আরও আটটি থানা তৈরি করা হচ্ছে।এর ফলে পুলিশ প্রশাসনের কাজের সুবিধা হবে। এছাড়াও আরও তিনটি পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল বারুইপাড়া, আটচালা বাগনান এবং গোলঘর। বারাকপুর মহকুমায় জনসংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে কমিশনারেটের এলাকাও। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশে ৭৭৯টি পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই পদের মধ্যে ইনসপেক্টর, সাব ইনসপেক্টর, কনস্টেবল পদ রয়েছে। এছাড়াও ১১ জন আংশিক সময়ের কর্মবন্ধু নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।