গুলিবিদ্ধ বিতান পড়েছিল প্রায় তিন ঘণ্টা, দেখা মেলেনি সেনা, একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার নিতে এসেছিল। এবং সম্প্রচার করেছিল ওই কলমা পর্যন্ত, - BBP NEWS

Breaking

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

গুলিবিদ্ধ বিতান পড়েছিল প্রায় তিন ঘণ্টা, দেখা মেলেনি সেনা, একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার নিতে এসেছিল। এবং সম্প্রচার করেছিল ওই কলমা পর্যন্ত,

 


বিবিপি নিউজ: ধর্মের জিগির তুলে যারা পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে, তাদেরকে কার্যত পথে বসিয়ে দিলেন জঙ্গিদের গুলিতে নিহত কলকাতার বাসিন্দা বিতান অধিকারীর শ্বশুরমশাই। 



জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বাইসারান ভ্যালি যেখানে জঙ্গি হামলা হয়েছে সেখানে মঙ্গলবার বিকেলে কী পরিস্থিতি হয়েছিল তার ছবির অল্প কয়েকটি কথায় তুলে ধরেছেন। আর সেটা থেকে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, নিরাপত্তা তো দূরের কথা, আহতদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ছিল না  পুলিশ বা কোনো লোক,  অ্যাম্বুল্যান্স ছিল না এবং বিতানের দেহ নয় নয় করে প্রায় তিন ঘণ্টা ফেলে হয়েছিল।


কেন্দ্রের সরকার যখন জঙ্গি হামলা নিয়ে হিন্দু-মুসলিম রাজনীতিতে ব্যস্ত, এবং বাছাই করে খুন করার তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া, তখন মিহিরবাবু মিথ্যাচারের ফানুসটা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছেন। কতখানি কেন্দ্রের অব্যবস্থা ছিল। একটা কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হয়েও কেন এত গাফিলতি। এর দায় কার? সেই প্রশ্নই তুলে দিয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সংবাদ মাধ্যমর চ্যানেল ধর্মীয় রঙ লাগাতে মরীয়া হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিতানের শ্বশুর। 


কী লিখেছেন জঙ্গি হামলায় মৃত বিতানের শ্বশুরমশাই!


সমাজ মাধ্যমে মিরাজ আজাদের মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন, মিডিয়া অর্ধসত্য জিনিস দেখাচ্ছে। কলমা পড়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কেন সেদিন একজনও সেনার দেখা পাওয়া যায়নি, তার জবাব কোন মিডিয়া দেবে? বিতান-সহ গুলিবিদ্ধরা প্রায় ঘণ্টা তিনেক একইভাবে পড়ে ছিল। কারওর দেখা পাওয়া যায়নি। সবচেয়ে হৃদয়বিদারক হল, গুলিবিদ্ধরা প্রায় দু'ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন। যদি তাঁদের দ্রুত চিকিৎসা হত তাহলে হয়তো অনেকে বেঁচে যেতেন। ওটা একদম সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা। ঘন জঙ্গল। ফলে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার আদর্শ জায়গা। এসব নিশ্চিতভাবে জানে নিরাপত্তাবাহিনী। তাহলে কোনওরকম নিরাপত্তা ছাড়াই কেন পর্যটকদের সেখানে যেতে দেওয়া হল?



মিহির রায় আরও বলেছেন, একটি টিভি চ্যানেলে তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে এসেছিল। এবং সম্প্রচার করেছিল ওই কলমা পর্যন্ত। তারপর এসব কথা বলা ছিল। কিন্তু সবকিছু ছেঁটে দিয়েছে। এরপর মিডিয়ার কথা কতখানি বিশ্বাসযোগ্য তা আমার কাছে পরিষ্কার।

Pages