বিবিপি নিউজ
শনিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদে বসে রাজ্যের শাসকদল তৃনমূল-এর সঙ্গে সম্পর্ক ততটা ভালো নয়। তৃণমূল নানা সময় অভিযোগ করেছে, তিনি বিজেপির কথা বেশি শোনেন। তবে, সেই ধনখড়কেই কিন্তু বারেবারে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কে এই জগদীপ ধনখড় ....
১৯৫১ সাল- রাজস্থানের ছোট্ট গ্রাম কিথানায় জন্ম।কিথানা গ্রামের সরকারি বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষালাভ। চিতোরগড়ের সৈনিক স্কুল থেকে স্কুলশিক্ষা। স্ত্রী সুদেশ ধনখড়। একমাত্র সন্তান কন্যা, কামনা।
১৯৭৮ সাল- জয়পুরের রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি। তার আগে পদার্থবিজ্ঞানে বিএসসি (অনার্স)।
১৯৯৩-৯৮ সাল- রাজস্থানের দশম বিধানসভায় কিষাণগড়ের বিধায়ক। রাজস্থান হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন (জয়পুর)-এর সভাপতি (সর্বকনিষ্ঠ)। সুপ্রিম কোর্টেরও আইনজীবী।
১৯৮৯-৯১ সাল- নবম লোকসভায় রাজস্থানের ঝুনঝুনু লোকসভা কেন্দ্র থেকে সংযুক্ত জনতা দলের সাংসদ। ১৯৯০ সালে কেন্দ্রের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।
২০১৯ সাল- ৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের ২৮তম রাজ্যপাল পদে দায়িত্ব নেন।
রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ। এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসিত রাজ্যে রাজ্যপাল থাকাকালীনই তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল এনডিএ। এর দিনকয়েক আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এবং রাজ্যপাল ধনখড় দার্জিলিঙে বৈঠক করেছিলেন। বিজেপি নেতৃত্ব তাঁকে অনেকদিন ধরেই ‘জনগণের রাজ্যপাল’ তকমা দিয়েছে। জাতিতে জাঠ সম্প্রদায়ের আইনজীবী রাজনীতিবিদ ধনখড় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়ে দেন ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার কথা।