বিবিপি নিউজ: কলেজ ছাত্রীকে ডাবের জলের মধ্যে অজ্ঞান করার ঔষধ খাইয়ে ধর্ষন তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠলো ফেসবুক বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার বাংলাদেশের গাজীপুরে। এই ঘটনায় শ্রীপুর থানায় ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই কলেজছাত্রীর বাবা।
জানা গেছে ওই কলেজছাত্রীর বাড়ি গাজীপুরের সদর উপজেলায়। তিনি একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত ফেসবুক বন্ধুর বাড়ি একই জেলার শ্রীপুর উপজেলায়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা গতকাল রাতেই থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা জানান, পরীক্ষা দিয়ে কলেজের মূল ফটকের সামনে থেকে এক বন্ধুর দেওয়া ডাবের জল খাওয়ার পর অজ্ঞান হয়ে পড়ে তার মেয়ে। এরপর ওই বন্ধু ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে সিএনজি অটোরিকশায় করে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মেয়ে।
তিনি আরো জানান, সোমবার (৫ জুন) সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে কলেজে যায় তার মেয়ে। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হয়ে বিকেল হয়ে গেলেও তার মেয়ে বাড়িতে ফেরেনি। এরপর তিনি মেয়ের মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু মেয়ে ফোন রিসিভ করেনি।
আরও পড়ুনঃ ঘুরতে গেলে কোন কোন হোমিওপ্যাথি ওষুধ সঙ্গে নেবেন, জানালেন চিকিৎসক সিঞ্চন দাস
তিনি বলেন, এরপর আমি নিজেই কলেজে যাই। কলেজে গিয়ে জানতে পারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগেই, আর আমার মেয়েও কলেজ থেকে চলে গেছে। আমি পুনরায় তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে অজ্ঞাতনামা ছেলেরা ফোন রিসিভ করে জানান, আমার মেয়ে অজ্ঞান অবস্থায় গোসিঙ্গা ইউনিয়নের হায়াতখারচালা গ্রামের কুটুমবাড়ি এলাকায় পড়ে আছে। তারা তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে দেয়। এরপর অটোরিকশাচালক আমাকে কাপাসিয়া রোডের আশামনি বাগানের কাছে যেতে বলেন। পরে আমি ওখানে গিয়ে মেয়েকে পাই। ওই চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কুটুমবাড়ি এলাকা থেকে কয়েকজন ছেলে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে শ্রীপুর নিয়ে আসতে বলেন।
তিনি আরো বলেন, অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। রাতে জ্ঞান ফিরলে ঘটনার বিস্তারিত জানায় আমার মেয়ে। মেয়ে আমাকে জানায়, ধর্ষক তার ফেসবুক বন্ধু। সে সুবাধে তার সঙ্গে দেখা করতে কলেজের সামনে আসেন। পরীক্ষা শেষে কলেজ থেকে বের হওয়ার পর গেটের সামনে এলে একটি ডাব খেতে দেন। ডাব খাওয়ার পরপরই সে অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন কয়েকজন মিলে একটি মাটির ঘরে নিয়ে আমার মেয়েকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।