বিবিপি নিউজ: রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা যে একেবারেই অচিরে চলে গিয়েছে, তা খোদ তৃণমূল বিধায়কের কথাতেই উঠে এসেছে বাস্তব চিত্র। দুইবছর ধরে বিকাশ ভবন ঘুরেও নিজের পেনশান চালু করতে পারেনি হুগলি জেলার বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি। একজন বিধায়কের যদি পেনশন চালু করতে এমন হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা হচ্ছে ? এমনটাই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
বলাগড়ের বিধায়ক কয়েকদিন ধরেই বেসুরো গলায় একের পর এক আক্রমণ করেছেন নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর। এবার তিনি জানিয়েছেন, 'বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে চাই। কিন্তু পেনশনটা এখনও চালু হচ্ছে না। দু'বছর ধরে বিকাশ ভবন যাচ্ছি। কিন্তু হচ্ছে না। তাই পদ ছাড়তে পারছি না। পদ ছাড়লে খাব কী।' এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একথা জানিয়েছেন।
বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন আরও জানিয়েছেন, তিনি শুধু তৃণমূল বিধায়ক নন, একজন সাহিত্যিকও। তাঁর অভিযোগ, তিনি বাবু নন, প্রান্তিক সমাজ থেকে উঠে এসেছেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, প্রার্থী তালিকা নিয়ে বলাগড়ে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর একটি মত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। বলাগড়ের ব্লক সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের বিরুদ্ধে তাঁর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তিনি যে চাকরি করতেন তার পেনশন ও গ্রাচুইটি কিছুই পাননি। পেনশন শুরু হলে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন মনোরঞ্জন। বলেন, '২২৪টি মোট আসন গ্রাম পঞ্চায়েতে। আমাকে দলের তরফে ১০৯টি টিকিট দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কারা পাবেন তাঁদের একটি তালিকাও তৈরি করি। মনোনয়নও জমা দেন তাঁরা। এইসবের পরও ব্লক সভাপতি অতিরিক্ত টিকিট কোথা থেকে পেল যে গোঁজ প্রার্থী ঢুকিয়ে দিল।'
তিনি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন না বলেও জানালেন। তাঁর কথায়, দিদি বা অভিষেক পর্যন্ত পৌঁছতে পারছিনা। যেকারণে একটা চিঠি দিয়েছি। আমার সমস্যার কথা দিদি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার লোক নেই। আমি এলিট বাবু সম্প্রদায়ের লোক নেই। আমি রিক্সাওয়ালা। আমি ভোটে দাঁড়ানোর সময় থেকেই ওরা আমায় অপমান করেছে। মানুষ আমায় আপন ভেবেছে। যেকারণে হারা আসন জিতিয়েছে মানুষ। এখানকার তৃণমূল বিজেপির কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল।'