ধুমধাম এর সাথে উদযাপিত হল গোস্বামী বাড়ির রথযাত্রা উৎসব - BBP NEWS

Breaking

বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০২৩

ধুমধাম এর সাথে উদযাপিত হল গোস্বামী বাড়ির রথযাত্রা উৎসব

  



বিবিপি নিউজ,প্রদীপ ব্যানার্জী: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর কাঁকপুলের গোস্বামী বাড়ির রথযাত্রা উৎসব এবার প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছরে পদার্পণ করলো। গোস্বামী বাড়ির প্রভু জগন্নাথ, বলরাম,সুভদ্রার বিগ্রহের সাথে জড়িত রয়েছে গৌরী সেন এবং রানী রাসমনি-র নাম। 



জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা পর্ব থেকে শুরু হয় রথযাত্রার উৎসবের আয়োজন। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন  প্রভু জগন্নাথ দেবের টানে। ভক্তরাই বহন করেন রথযাত্রা উৎসবের যাবতীয় খরচ। রথ যাত্রার দিন কাঁকপুলের নয়াসমাজ মোড় থেকে শুরু হয় মাসী বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা।   এই সাত দিন প্রভু জগন্নাথ দেব, বড়ভাই বলরাম এবং বোন সুভদ্রা  অধিষ্ঠান করেন কল্যাণগড় বাজার নাট মন্দিরে। সেখানেই চলে বিভিন্ন রকম ধর্মীয় রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠান। প্রতিদিন ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। অধুনা বাংলাদেশের যশোর জেলার ভাটপাড়ায় গোস্বামী বাড়ির রথযাত্রার সূচনা করেছিলেন এই বংশের পূর্বপুরুষ দয়ারাম গোস্বামী। দেশ ভাগ হওয়ার বছরখানেক আগেই  তারা ছিন্নমূল হয়ে চলে আসেন এই বঙ্গে। 


তবে জগন্নাথদেবের বিগ্রহ সবসময়ই তাদের সাথী ছিল। এরপর বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথ দেবের এই বিগ্রহ গুলি বেশ কিছুদিন ছিল নিমতলা ঘাটে প্যান্ডেল করে তারপরে তা একসময় চলে আসে ধনকুবের গৌরী সেনের বাড়িতে। বেশ কিছু দিন ছিল রানী রাসমনির এন্টালির বাড়িতেও। এরপরে এই বিগ্রহ ১২ বছর পূজিত হয় বিড়লা কোম্পানিতে ।  তবে বিড়লা কোম্পানি যখন গোস্বামীদের সেবাইত করে ট্রাস্টিবোর্ড গড়তে চায় তখন অরাজি হয় গোস্বামী পরিবার। তারা এক শিষ্যের মাধ্যমে চলে আসেন কাঁকপুলের যুবক সংঘ এলাকায়। এখানেই গত ৬৪ বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন জগন্নাথ, বলরাম,সুভদ্রা । আর এই রথযাত্রা ঘিরে উৎসাহের শেষ নেই ভক্তদের মধ্যে। এই বংশের বর্তমান প্রজন্ম প্রভুপাদ শ্যামসুন্দর গোস্বামী জানালেন তৎকালীন  সময়ে  স্বয়ং চৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপায় তাদের জগন্নাথ  মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।  সেই পুরোনো ঐতিহ্য বজায় রেখে উদযাপিত হয়ে আসছে তাদের এই রথ যাত্রা উৎসব। এদিন হাজার হাজার মানুষ এই রথ যাত্রা উৎসবে অংশ গ্রহণ করলেন।

Pages