বিবিপি নিউজ: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল শুক্রবার ছিল তাঁর কর্মজীবনের শেষ দিন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনিক স্তরে উদ্বেগে দেখা দিয়েছিল। কারন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেয়াদবৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো চিঠি আসেনি। কিন্তু তার সঙ্গেই আশাবাদীও ছিল যে, শুক্রবার দিন শেষের আগেই ওই সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র এসে যাবে। বাস্তবেও তেমনই ঘটেছে।
হরিকৃষ্ণের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ার ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসনে কোনও রদবদল প্রয়োজন হচ্ছে না। সেদিক দিয়ে আশ্বস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কারণ, দ্বিবেদী মমতার ‘আস্থাভাজন’ বলেই পরিচিত।
প্রসঙ্গত, দ্বিবেদীর মেয়াদ যাতে না-বাড়ে, তার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি যে দ্বিবেদীর ‘পক্ষে’ নন, তা একাধিক বার প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন শুভেন্দু। প্রকাশ্যে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন দ্বিদেবীর বিরুদ্ধে।
রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, অমিতের কাছেও তিনি বিষয়টি নিয়ে দরবার করেছিলেন। যদিও শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বিষয়টি বারবারই উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্যের কোনও আমলাকে নিয়ে বিরোধী দলনেতার অত ‘মাথাব্যথা’ও নেই। তবে রাজ্য বিজেপিরই একাংশের বক্তব্য, শুভেন্দু যে দ্বিবেদীর মুখ্যসচিব পদে মেয়াদবৃদ্ধি পছন্দ করবেন না, তা নিয়ে বিশেষ সন্দেহ নেই। এখন দেখার, শুভেন্দু কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন কি না।
অন্যদিকে মুখ্যসচিব পদে তাঁর মেয়াদবৃদ্ধি হবে কি না, তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন দ্বিবেদীও। গত কয়েকদিন তিনি সে ভাবে কারও সঙ্গে কথাও বলেননি। তবে প্রশাসনিক মহলের অনুমান ছিল, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত থাকলেও থাকতে পারেন। কারণ, কপ্টার-দুর্বিপাকে আহত মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে থাকলেও তিনি স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকাকে ডেকে পাঠিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, এমন কথা কেউ জানতেন না। বিশেষত, যখন দ্বিবেদীর মেয়াদ না-বাড়লে গোপালিকার নামই পরবর্তী মুখ্যসচিব হিসেবে সবচেয়ে আগে বিবেচিত হচ্ছিল। তাঁর সঙ্গে দৌড়ে আরও দু’একজন ছিলেন। কিন্তু তাঁরা অনেক পিছিয়েই ছিলেন। এখন অবশ্য তাঁদের কারওরই নাম নিয়ে আর জল্পনা বা আলোচনার অবকাশ নেই।