বিবিপি নিউজ: আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসকের ওপর যে বর্বরোচিত ধর্ষণ এবং রক্তলোলুপ হায়নার মত সারা শরীরে ক্ষতবিক্ষত করে খুন হওয়ার পর অতিবাহিত হয়ে গেছে বারোটা দিন।
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুন হওয়াকে কেন্দ্র করে ভুল তথ্য পরিবেশন করেছে প্রশাসন সহ আরজি করের স্বাস্থ্য অধিকর্তা শুধু তাই নয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট সহ দাহ সংস্কারও করিয়েছে তড়িঘড়ি। এমনটাই দাবি সাধারণ মানুষের।
এখানেই শেষ নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য অত্যন্ত তৎপরতার সাথে এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সচেষ্ট হয়েছে। এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। প্রাক্তন সুপারকেও ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে সিবিআই ৬০ ঘন্টার অধিক। পাশাপাশি আর জি করের ফাইল এখন সুপ্রিম কোর্টের আওতায়।
এদিকে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার কর্ম বিরতি সহ দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের আন্দোলন এবং বাংলায় থিয়েটার জগত থেকে শুরু করে সংগীত জগত, টলিউড, চিত্রশিল্পী সহ ফটোগ্রাফার আইনজীবী এবং সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ডার্বি ম্যাচেও বাতিল হয়েছে। সেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা ও প্রতিবাদে সামিল হয়েছে।
শুধু তাই নয় নাগরিক সমাজ তাদের আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতার করেছে কিন্তু অভয়া, তিলোত্তমা কাদম্বিনী, যে নামেই ডাকা হোক না কেন ওই তরুণী চিকিৎসকের জীবিত অবস্থার ছবি সহ নৃশংসভাবে খুন করার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে। সে নিয়ে যদিও তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। শুধু তাই নয় কাতর মিনতি ও করেছেন যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের মেয়ের ছবি আপলোড করা না হয়। কিন্তু না, আমরা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন নাগরিক সেই পরিচয় দিতে পারিনি।তাই এ হেন তিলোত্তমার বাবা মা-র সবিনয় আবেদনে সারা বাংলা শুধু নয় সমগ্র বিশ্ববাসী যাতে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসে সেটাই যুক্তিযুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। জরুরি ভিত্তিতে সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে নির্যাতিতার ছবি ও নাম মুছে ফেলার কথা বলা হয়েছে।
