মাসুদূর রহমান
তখনও করোনা ভাইরাস এর মত মারণব্যাধি ভারতবর্ষের আনাচ-কানাচ ছুঁয়ে উঠতে পারেনি কিন্তু দেশের রাজধানীর বুকে আয়োজিত এক সভাই ধিকি ধিকি করে জ্বলা আগুনটাতে ঘৃতাহুতি দান করেছিল। রাজধানী দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় সেদিন তাবলীগ-ই- জামাত এক ধর্মীয় সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল। সেই জামাতে অংশগ্রহণ করেছিল মুসলমান ধর্মাবলম্বী বেশ কিছু মানুষ। তার কিছুদিনের মধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা গোটা ভারতজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হতে থাকে।ফল স্বরুপ আক্রান্তের সংখ্যা আজ প্রায় ৩০০০ ছুঁতে বসেছে।গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ একদিনেই এতো দিনের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ স্থান করে নিয়েছে। সেও প্রায় ৫০০এর কাছাকাছি হতে বসেছে। এহেন পরিস্থিতিতে ওই সমাবেশে যোগ দেওয়া দেশের প্রায় প্রত্যেকটা রাজ্যের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে দশজন মধ্যপ্রদেশ থেকে ১০৭জন মেঘালয় থেকে সাতজন ও ভোপালে ৩২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন এ পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয় মহারাষ্ট্রের১১৪ জন বিহারে একজন কে চিহ্নিত করা গেছে। তামিলনাড়ু থেকে দেড় হাজার জনের মধ্য থেকে ৫১৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও গত দেড় দিন ধরে নিজামুদ্দিন এলাকা থেকে ২৩০১ জনকে সরানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬১৭জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা কোয়ারেন্টাইন আছে। তাই সর্বাঙ্গীণ ভাবে এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে জামাতের এই সভা করোনা ভাইরাসকে কতটা ত্বরান্বিত করেছে।ফলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গোড়া থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ সহ সর্তক করছিল।সেই তথ্য চাপান দিচ্ছে কেন্দ্র।তাই এই ঘোরোতরো অপরাধের দায় ভার কেন্দ্র কেও কিছুটা হলেও নিতে হবে। এর পাশাপাশি সংখ্যালঘু কমিশন জানিয়েছে, ব্যাপক ক্ষতি করেছে এই সভা।সেজন্য ওই কমিশন সব রাজ্যকে ইতিমধ্যেই ধর্মীয় স্থান ও মাদ্রাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।তাই সর্বাত্মক ভাবেই এরকম একটা অনভিপ্রেত ঘটনা দেশের রাজধানী দিল্লির বুকে কি করে ঘটল সেটাই বড় প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে গেল যার উত্তর হয়তো কোনও দিন পাওয়া যাবে না।কিন্তু ইতিহাস…….. ?
