বিবিপি নিউজ: লকডাউনে নিঝুম ব্যস্ত তল্লাট, আনাগোনা নেই মানুষের মাঝে মাঝে খাকি পোশাকে পুলিশ ও কয়েকজন লোক এসে দিয়ে যাচ্ছে চাল,ডাল,আলু,তেল। এই পরিস্থিতি কলকাতায়। এখন নেই কাজ,অর্থাৎ লকডাউনে খদ্দের দেখা নেই। কি খাবে কি করবে তা স্পষ্ট ছাপ যৌনকর্মীদের মুখে। শেয়ার করলেন পুরুষদের প্রথম চাহিদা কী থাকে।
এই পেশায় কেউই সখে আসে না। কাউকে জোর করে এই পেশায় আনা হয়। আবার কেউ চরম দারিদ্রতার শিকার হয়ে এই পেশায় আসতে বাধ্য হন। যাই হোক এই পেশার মানুষদের কাছেও আসে আবার সমাজের বিশেষ একটা শ্রেণীর পুরুষরা। যৌন কর্মীদের কাছে এসে প্রথমেই পুরুষদের কী চাহিদা থাকে তা হয়ত অনেকেই জানেন না। সে কথাই এবার জানালেন এক যৌনকর্মী।
জানালেন কী ধরনের খদ্দেরের দেখা মিলেছিল। কোনো এক রাতের ঘটনা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই নারী যৌনকর্মী। আচমকাই এক ব্যক্তি এসে তাঁর হাত চাটতে থাকেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মহিলার হাতে টাকা ধরিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান ওই ব্যক্তি। একবার এক ব্যক্তির সঙ্গে যে ঘরে শারীরিক স’ম্পর্কে লি’প্ত হয়েছিলেন ওই মহিলা, সেই ঘরে একটি ফুটো করে রেখেছিলেন ওই ব্যক্তি। যাতে বাইরে থেকে তাঁর বন্ধুরা অনায়াসে মি’লনের সাক্ষী থাকতে পারেন।
এক ব্যক্তি আবার একবার নিজের বিজনেস ট্রিপে ওই মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ছিলেন। কিন্তু কখনওই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হননি। এমনকী একই বিছানায় শুয়েও তাঁকে স্পর্শও করেননি। তবে তিনি তার ধার্য টাকার অনেক বেশি দিয়েছিলেন। এমন ঘটনা বেশ অবাক করেছিল যৌনকর্মীকে।
তিনি আরও জানান, জীবনে অনেক ভদ্রলোকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়েছে। যারা কখনও তাকে কোনও কিছুর জন্য জোর করতেন না। এক নিয়মিত খদ্দেরের সঙ্গে আবার দেখা হত এক হার্ডওয়্যার স্টোরে। তাঁর দোকানের মধ্যেই চলত মিলন। কিন্তু মাঝে মধ্যে দেখা না হলেও ওই খদ্দের প্রতি সপ্তাহে মহিলার কাছে অর্থ পাঠিয়ে দিতেন। আবার অল্প বয়সি পুরুষরা নিজেদের অতিরিক্ত স্মার্ট মনে করতেন। তাঁরা সঠিক দাম তো দিতেনই না, উলটে চোখের আড়ালে টাকা চুরিও করতেন। তবে বেশ কিছু ইয়াং ছেলে ছিল যারা প্রতি সপ্তাহে আসতো এবং আড্ডা দিয়ে চলে যেত।
