বিবিপি নিউজ: ক্রমাগত লকডাউন বেড়ে চলেছে পাশাপাশি কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পাশাপাশি রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় ফের বাড়ল ‘কনটেনমেন্ট জোন’ বা সংক্রামক এলাকার সংখ্যা। মঙ্গলবার কলকাতা পুরনিগমের অন্তর্গত ৩১৬ টি জায়গাকে সংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। বুধবার তা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩৪।
বুধবার বিকেলে পর্যন্ত রাজ্য সরকারের ‘এগিয়ে বাংলা’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সংক্রামক এলাকার সংখ্যা বেড়েছে ১৮। রাজ্যের যে দুটি জেলায় করোনার প্রভাব বেশি, সেই হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রামক এলাকার সংখ্যা যথাক্রমে ৭৬ এবং ৯০। কলকাতার পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রামক এলাকার সংখ্যা ২২।
অন্যদিকে, হুগলি ও নদিয়াতে সংক্রামক এলাকার সংখ্যা যথাক্রমে ১৮ এবং একটি। পূর্ব মেদিনীপুরের সাতটি জায়গাকে সংক্রামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে সেই সংখ্যাটা পাঁচ। মালদহ ও পূর্ব বর্ধমানে যথাক্রমে তিন ও একটি সংক্রামক এলাকা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের তিন জেলাতেই সংক্রামক এলাকা সীমাবদ্ধ আছে। জলপাইগুড়িতে চারটি, কালিম্পঙে দুটি এবং দার্জিলিঙে দুটি সংক্রামক এলাকা রয়েছে। তবে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় জনস্রোতে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু পরিবহন পরিষেবা চালু না হওয়ায় তা যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে। যদীও কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে খবর শর্তসাপেক্ষ খুব শীঘ্রই পরিবহন পরিষেবা চালু করা হবে।
