বিবিপি নিউজ,নিজস্ব সংবাদদাতা: দরজায় কড়া নাড়া দিচ্ছে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন।সেই নির্বাচনকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষের মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে সাজসাজ রব। যদিও পূজার আগে থেকেই দু'পক্ষই বিধানসভা ভোটের ঘুটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে উত্তরবঙ্গে আগমন হয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার। যদিও সেই সফরে আসার কথা ছিল প্রাক্তন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। সে ক্ষেত্রে অমিত শাহ এর জায়গায় জে পি নাড্ডা উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন। সমানের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই জে পি নাড্ডার আসার কথা ছিল কিন্তু তাঁর পরিবর্তে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং।
গত লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহের সাংগঠনিক দক্ষতায়,লোকসভার ফলাফল অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে বলে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করেন।তাই বঙ্গের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয়টা অমিত শাহের পূর্বপরিচিত।সেজন্য বিধানসভা ভোটের আগে সাংগঠনিক প্রস্তুতি কতটা শক্ত পোক্ত হয়েছে তার তদন্ত করতে আসছেন আগামী ৫ও ৬ নভেম্বর। আগেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ঠিক করেছিলেন যে আগামী ৫ ও ৬ ই নভেম্বর শুধুমাত্র মেদিনীপুর ও বর্ধমানের জোনের নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করার কথা ছিল নাড্ডার কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সহ আসার জন্য এর সাথে নবনিযুক্ত হয়েছে কলকাতাসহ নবদ্বীপ। ২০২১এর বাংলার বিধানসভা নির্বাচন বিজেপি নেতৃত্বের কাছে এক অগ্নিপরীক্ষা। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই তাই আগেভাগেই বঙ্গ বিজয় ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে বিজেপি।সেজন্য প্রায় প্রত্যেক মাসেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রথম সারির ব্যক্তিত্বরা বারংবার ধরে রাজ্য সফরে আসছেন এবং বঙ্গের সাংগঠনিক দিক সহ নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার বিষয়েও বঙ্গ বিজেপি কড়া নজর রাখছে।তাই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন শাসক-বিরোধী দুই যুযুধান নেতৃত্তের কাছে এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোট ময়দানের সূচাগ্র মেদিনীও যে কেউ কাউকে ছেড়ে দেবে না,তা এখন থেকেই রাজনৈতিক মহল বুঝতে পারছে।
