বিবিপি নিউজ, নিজস্ব সংবাদদাতা: আজ সৌন্দর্যের ও ঐশ্বর্য্যের অধিকারী কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। তাঁর আরাধনায় মেতে উঠছে বঙ্গবাসী। সন্ধ্যায় লক্ষ্মী পূর্ণিমা পড়ার সাথে সাথে বাংলার ঘরে ঘরে ধূপ ধুনায় পুষ্পে মঙ্গল আরতিতে মা লক্ষ্মী পূজিতা হবেন, কিন্তু বঙ্গবাসীর জীবনে যে অমাবস্যার ঘনো অন্ধকারে ছেয়ে আছে, তার খবর তো স্বয়ং মা লক্ষ্মী দেবী ও রাখেন না। দীর্ঘ নয় মাস শুধু বাংলা নয় ভারতবর্ষসহ পৃথিবীর মানুষের জীবনে অলক্ষ্মীর দাপট চলছে। এই করোনা আবহের মধ্যেই মা দূর্গার পর মা লক্ষ্মীর আরাধনায় সামিল হয়েছে বঙ্গবাসী কিন্তু যা দিয়ে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করবে বঙ্গবাসী, সেই ভাঁড়টাই তো আজ শূন্য হয়ে গেছে। তার ওপর পূজার উপকরণসহ ফল ফুল ও অন্যান্য সামগ্রীর দাম ও আকাশছোঁয়া,আম বাঙালির হাতের নাগালের বাইরে।
এই সময়ে বাংলার মাঠে মাঠে ভর্তি ধান। চাষীরা আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই সেই ধান খামারে তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠবে। ঠিক এরকমই সন্ধিক্ষণে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার মানুষ। তাই স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্মী পূজার প্রধান উপকরণ হলো ধানের শীষ।সেই শীষ আজ ৫০ টাকার ওপর দাম।
অন্যান্য বছরে যার মূল্য ছিল মাত্র ৫থেকে ১০ টাকা। লক্ষীর প্রধান ফল হলো পানিফল আখ তাল- করম নারিকেল লেবু ইত্যাদি।এই সমস্ত ফলের দাম শুনে তো ছিটকে পড়ে যাওয়ার উপক্রম। তার উপরে আছে তাঁর পূজার জন্য ফুল।বেশ কয়েকবার ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য ফুলচাষিদের আগে থেকেই মাথায় হাত পড়ে ছিল।
এবার সেই ফুল কিনতে গিয়ে ফুল ক্রেতাদের মাথায় হাত পড়েছে, লাগামছাড়া ফুলের দামের জন্য। তাই সার্বিকভাবেই বঙ্গবাসীর মা লক্ষ্মীর আরাধনার ইচ্ছা থাকলেও উপায়টা যে বড্ডই তাদের কাছে সংকীর্ণ হয়ে যায়। শুধু তাই নয় এক ক্রেতা জনালেন যে,"এবারের মতো হয়তো, এসো-মা-লক্ষ্মী-বসো-ঘরে বলে যে আদর যত্ন করে বাংলার মানুষ ডাকতেন মাকে, হয়তো সেই সাধ ও সাধ্য এবারের জন্য থাকবে না।"
