আব্দুল রাহাজ
ছেলেটা জন্মেছিল ছোট্ট একটা মফস্বল শহরে। বাবা একজন বড় মস্ত ব্যবসায়ী ছোট থেকে খাওয়া পরায় কোন অসুবিধা নেই ছেলেটির নাম জেমস। কিন্তু খুব বড় মনের মানুষ ছিলেন অল্প বয়স থেকেই। একবার পাশের গ্রামের আকুঞ্জী পাড়ায় বন্যায় সব ভেসে যায় সেখানকার মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিলে জেমস। নিজের জমানো টাকা থেকে অসহায় মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সেই দুঃসময়ে। পড়াশোনায় অতটা ভালো না কিন্তু তার যে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এটাই ছিল ওর কাছে বড় পরিচয়। সেদিন রাতের বেলা মোবাইলে একটা কল আসে তখন বাজে বারোটা সবে প্রান্তিক মানুষদের খোঁজখবর নিয়ে ঘরে এসে ঘুমাতে যাবে সেই সময়। ফোন করলেন মানবাধিকার কমিশনের অফিস থেকে স্যার জয়নুল আহমেদ। তিনি বললেন আফ্রিকার একটি ছোট্ট দেশে মহামারী চলছে তুমি কি যাবে টিমের সাথে তখন আবেগভরা গলায় কিছু না ভেবে বলে উঠলো আমি যেতে রাজি। এরপর সবকিছু ঠিকঠাক হল পরেরদিন কাকভোরে গাড়ি চেপে রওনা দিলো মানবাধিকার কমিশনের অফিসে
যাওয়ার জন্য । সেখান থেকে ওরা যাবে আফ্রিকার ছোট্ট দেশে যথারীতি ভাবে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে গেল সেখানে। এরপর নিজের দেশের মাটি ছেড়ে পাড়ি দিল আফ্রিকার বন জঙ্গল ঘেরা একটি ছোট্ট দেশে।
যেখানে মহামারীর কবলে পড়ে মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে। সেদিন জেমস ও তার দলের দেখে মানুষ গুলো বেশ আশায় বুক বেধে ছিল। কিন্তু ঝড়ের প্রকোপ প্রাকৃতিক বিপর্যয় বারে বারে বাধা বিপত্তি করছিল জেমস দের । বাড়ির সাথে কোন যোগাযোগ নেই কাজে ব্যস্ত আফ্রিকার এই ছোট্ট দেশে জেমস। দেখতে দেখতে কেটে গেল পাঁচটা বছর আফ্রিকার এই ছোট্ট দেশকে আঁকড়ে ধরে তার দলবল মহামারী এলাকায় সাহায্য করতে লাগল ছোট্ট জেমস। কিন্তু পাঁচটা বছর পরও ফেরা হলো না নিজেদের জন্মভূমিতে সে আজও পড়ে আছে সেই আফ্রিকার ছোট্ট দেশে। আর ফিরে আসা হলো না তার নিজের দেশে আজও আজও।
"স্বাধীনতা দিবস" উপলক্ষে লেখা আহ্বান।
** আপনার লেখা অপ্রকাশিত কবিতা, গল্প,
উপন্যাস,নাটক, ফিচার প্রভৃতি পাঠাতে পারেন।
** লেখা পাঠাবেন মোবাইল ফ্রন্ট/ মেইল বডি/ অভ্র
কিবোর্ডে।
** পিডিএফ,ডকুমেন্ট্স, ফটো, পিএনজি, ফাইলে
লেখা গ্রহন করা হবে না।
** লেখা পাঠানোর সময় আপনার ঠিকানা, ফোন
নাম্বার ও একটি ছবি পাঠাতে হবে।
** লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ আগামী ১০-ই আগষ্ট
রাত ৯ টা পর্যন্ত।
** লেখা পাঠবেন 7003345558 (হোয়াটসঅ্যাপ) /
bbplive.news@gmil.com - ই-মেইল ঠিকানায়।
**উপরিউক্ত নিয়ম মেনে লেখা পাঠালে লেখা প্রকাশ
করা হবে। অন্যথায় লেখা বাতিল বলে গন্য করা
হবে।
