বিবিপি নিউজ: গোড়া রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থা থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হাত ধরে আসছে এই পরিবর্তন। দেশটিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। তার সংস্কার পরিকল্পনা ‘ভিশন ২০৩০’ অনুসারে নারীদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা গুলো একে একে তুলে নেওয়া হয়েছে। অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের বাইরে থাকার বিধিনিষেধও প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরিবারে নারীদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। গাড়ি চালনা থেকে শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনীতেও নিয়োগ পাচ্ছেন নারীরা। তবে দেশটিতে নারীদের তুলনায় কম হারে বেতন পাচ্ছেন পুরুষরা।
সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের তথ্যে জানা গিয়েছে, সৌদি আরবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের গড় বেতন বেশি। ২০২০ সালে নারীদের গড় মাসিক বেতন ছিল ৪১০৫ রিয়াল আর পুরুষদের বেতন ছিল ৩৯৪৪। যদিও, এ সময়ে নারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি পেলেও সামগ্রিকভাবে লিঙ্গবৈষম্য পুরোপুরি দূর হয়নি। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুরুষদের গড় বেতন ছিল ১৮২০ ডলার, আর নারী সহকর্মীদের বেতন ছিল ১১৯০ ডলার।
প্রসঙ্গত, রক্ষণশীলতা থেকে বেরিয়ে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সৌদি নারীরা। সৌদি আরবের অনেক নারী এখন চাকরি করছেন। ধর্মীয় রক্ষণশীলতার কারণে দেশটিতে এতদিন নারীদের চাকরি করতে তেমন দেখা না গেলেও এখন শ্রমবাজারে উল্লেখ্যযোগ্য হারে নারীর সংখ্যা বাড়ছে।
জ্বালানি তেল বেচে রাজকীয় জীবনযাপনের যে আয়েশ দেশটি এতদিন ভোগ করেছে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই সৌদির রূপান্তরিত সমাজে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সৌদির ডি-ফ্যাক্টো নেতা ক্রাউন প্রিন্স যুবরাজ সালমানও তাই নানা সংস্কার প্রকল্প শুরু করেছেন।
