"ভিডিও কল ধরতেই নগ্ন মহিলার ছবি"-হানিট্রাপে শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা! - BBP NEWS

Breaking

শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২২

"ভিডিও কল ধরতেই নগ্ন মহিলার ছবি"-হানিট্রাপে শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসকরা!



বিবিপি নিউজ: জামতাড়া গ্যাং নিয়ে শঙ্কায় শহরবাসীর। এরই মধ্যে এবার হানিট্রাপের খপ্পরে  শহরের চিকিৎসক! ভিডিও কল রিসিভ করতেই নগ্ন মহিলার ছবি। এরপরেই ভিডিও কলের সেই ছবি

স্ক্রিন শট করে ব্ল্যাকমেল ও প্রতারণার চেষ্টা।

 একজন নয়, দু-চার জন চিকিৎসকে শিকার বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। 


জানা গেছে, গত ১৬ জানুয়ারি রবিবার গল্ফ গ্রিনের এক চিকিৎসকের কাছে ভিডিও কল আসে সকাল ১০.৩৬ নাগাদ।  ভিডিও কলটি রিসিভ করেন তিনি। কারণ অতিমারী পরিস্থিতিতে এখন অনেক্ষেত্রেই ভিডিও কল ভরসা। কিন্তু ভিডিও কল রিসিভ করলে প্রথমে তিনি ব্ল্যাক স্ক্রিন দেখতে পান। কিন্তু স্ক্রিনের অপর পাশ থেকে তখন বাংলায় তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল, তিনি দেখতে পাচ্ছেন কিনা। চিকিৎসক তার উত্তরে জানিয়ে দেন 'না'। তার মাত্র ৩-৪ সেকেন্ডই মধ্যে এক সুন্দরী তরুণীর নগ্ন ছবি এসে ওঠে চিকিৎসকের মোবাইলে। চিকিৎসক জানান,ঐ তরুণী নিজেকে ঋত্বিকা শর্মা পরিচয় দেন। তারপরই চিকিৎসক ফোন কেটে দেন। চিকিৎসকের দাবি, ফোন এলে ট্রু কলারে নাম উঠেছিল প্রমোদ ডিপিএস। এ দিকে, এই ঘটনার পরে তিনি কাজ সেরে বাড়ি ফিরে যান। এরপর দুপুর ১.৪০ নাগাদ তাঁর কাছে ফোন দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চের নাম করে। সেখান থেকে তাঁকে জানানো হয়,  একটি মেয়ের  সঙ্গে তিনি অশালীন আচরণ করেছেন তাই অভিযোগ পেয়ে পুলিশের এই ফোন। চিকিৎসক অভিযোগে উড়িয়ে দিয়ে জানান তিনি এরকম কিছু করেনি। পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, 'মেয়েটি আপনাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে, আপনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আপনার ফ্যামিলি শেষ।' চিকিৎসক বলেন, 'আমি সে ভাবে কথা বলিনি'। এরপর পুলিশ পরিচয়ে দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, '৪০ সেকেন্ডর ভিডিওতে আপনার ফ্যামিলি শেষ হয়ে যাবে। ফেসবুক,  ইউটিউব, টুইটার ছড়িয়ে গিয়েছে'। চিকিৎসক অবশ্য লড়ে গিয়েছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, 'আমি কিছু করিনি। আমার কোনও অসুবিধা হবে না।' এরপর তাঁকে ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি সেটি ডাউনলোড করেনি। এরপর ওই চিকিৎসক নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে গোটা ঘটনাটি শেয়ার করেন। আর তাতেই জানতে পারেন তাঁর অন্য চিকিৎসক বন্ধুরাও একই অভিজ্ঞতার সামিল। ওই চিকিৎসকের অপর  বন্ধু চিকিৎসকও সচেতনতার জেরে কোনওমতে রেহাই পান। গোয়েন্দাদের পরামর্শ, অচেনা নম্বর ব্লক করুন। ভিডিও চ্যাট এড়িয়ে যান। মোবাইলের ফ্রন্ট ক্যামেরায় স্টিকার লাগানো যেতে পারে, যাতে আপনার ছবি কেউ রেকর্ড করতে না পারে। লজ্জা নয়, পুলিশের কাছে অভিযোগ করুন। নিজের নম্বর অপরিচিতকে শেয়ার করবেন না।


Pages