![]() |
ফাইল ছবি |
বিবিপি নিউজ: ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে গুলি করা হয় এক তৃণমূল নেতাকে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলাম।
মঙ্গলবার রাতে আক্রান্ত হয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী হাতেম মোল্লা। চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার সকালে তাঁর স্ত্রী জোৎস্না মোল্লা বলেন, ‘‘সারা রাত আতঙ্কের কারণে বাড়ির মধ্যে বন্দি ছিলাম। বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় বোমাবাজি করা হয়েছে।’’ সকালে হাতেমকে দেখতে যান শওকত, আরাবুলরা। এলাকায় ১৪৪ ধারা থাকা সত্ত্বেও কেন এমন ঘটনা বার বার ঘটছে, তা প্রশাসনকে তদন্ত করে দেখার জন্য আবেদন করেন তাঁরা। শওকত আবার অশান্তির মূলে দায়ী করেছেন নওশাদকে। তাঁর কথায়, ‘‘নওশাদ ধূর্ত এবং নাটকবাজ। মুখ এবং মুখোশ আলাদা তাঁর। ভাঙড়ের যুব সমাজকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দিচ্ছেন উনি।’’
আরও দেখুনঃ মন্ত্রীর কনভয়ের ধাক্কায় উল্টে গেল রোগী সহ অ্যাম্বুলেন্স
ভাঙড়ে কোনও মানুষই নিরাপদ নন। যে কোনও দিন হামলার মুখে পড়তে হতে পারে ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলাম এবং তাঁর পুত্র হাকিমুল হোসেনকে। এমনই অভিযোগ করে ভাঙড়ে শান্তি ফেরাতে পুলিশকে আবেদন করলেন তৃণমূলের দুই ‘প্রভাবশালী নেতা’ আরাবুল ইসলাম এবং শওকত মোল্লা। শুধু তা-ই নয়, এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারের দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও আইএসএফআই আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূল নেতাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। এর প্রেক্ষিতে নওশাদ পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না।