বিবিপি নিউজ: স্কুলের মিড-ডে মিলের নিদির্ষ্ট নিয়মের বাইরে পড়ুয়াদের আবদার মেটাতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন প্রধানশিক্ষক। পড়ুয়াদের আবদার মেটাতে মিড-ডে মিলে বিরিয়ানির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল ব্লকের নামাল প্রাথমিক স্কুলে।
দুর্গাপুজো কাটিয়ে আজ থেকে আবার এক সপ্তাহের জন্য ছুটি পড়তে চলেছে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। পড়ুয়াদের আবদার মেটাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজের হাতে বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়ান পড়ুয়াদের। প্রধান শিক্ষকের এই কাজে বেজায় খুশি পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে বিতর্কও। ব্লকের অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকরা এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল দেওয়ার ব্যবস্থা দীর্ঘ দিনের। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কখনও কখনও মিড-ডে মিলের খাবার থেকে মেলে পোকা বা মরা টিকটিকি। কিন্তু এবার মিড-ডে মিল নিয়েই ঘটল একটি অবাক করা ঘটনা।
দুর্গাপুজোর ছুটির পর খুলে গিয়েছি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল খোলার পর থেকেই পড়ুয়ারা স্কুলের শিক্ষকদের কাছে বিরিয়ানি খাওয়ার আবদার করে। শিক্ষকরা পড়ুয়াদের আবদার অমান্য করতে পারেননি। তাই তাদের খুশি করতে স্কুলের চার জন শিক্ষক নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে পড়ুয়াদের জন্য আয়োজন করে বিরিয়ানির। স্কুলের মোট ছাত্রের সংখ্যা ১১৫ জন। শুক্রবার এসেছিলো ১০৮ জন। সেই ১০৮ জনের জন্য বিরিয়ানি নিজের হাতে বানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মণিব্রত মাইতি। প্রধান শিক্ষক বলেন, 'পড়ুয়ারা আবদার করেছিল আমাদের কাছে। আমরা কি সেটা ফেলতে পারি! সেই কারণে আমরা চারজন শিক্ষক নিজেরা টাকা খরচ করে ওদের জন্য বিরিয়ানির ব্যবস্থা করেছি।