বিবিপি নিউজ: বুধবার কৃষ্ণনগর রেল স্টেশনে অবরোধ। ট্রেনের সামনে বিজেপির পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বন্ধ সমর্থকেরা।
বনগাঁ স্টেশনে অবরোধ শুরু বিজেপির। বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্ত্তনিয়ার নেতৃত্বে চলছে অবরোধ। এর জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে শিয়ালদা - বনগাঁ ও বনগাঁ-শিয়ালদা শাখার ট্রেন চলাচল। আটকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
মঙ্গলবার আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকা নবান্ন অভিযানে উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। আন্দোলনকারীদের আটকাতে হাওড়ার জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযান শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে অশান্ত হয় পরিস্থিতি। জায়গায় জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। পুলিশের দিকে উড়ে আসে ইট-পাটকেল, বোতল ইত্যাদি। পাল্টা জলকামান ছোড়ে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে বুধবার রাজ্যব্যাপী ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
পুরাতন মালদহে বন্ধকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল মালদহে। পুলিশের সামনেই বচসায় জড়ালেন তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকেরা।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নেতৃত্বে একাধিক রেল স্টেশনে অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থকেরা। পাল্টা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরাও পথে নেমেছেন। বন্ধের বিরোধিতায় প্রচার চালাচ্ছেন।
বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীর নেতৃত্বে ব্যারাকপুর স্টেশনেও শুরু হয়েছে রেল অবরোধ। অবরোধ তুলতে এলাকায় কর্মীদের নিয়ে পৌঁছলেন তৃণমূল নেতা। বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীর সঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলরের বচসা তুঙ্গে ওঠে। সকলকে বনধ সমর্থন করার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা।
গোচরণ এবং দক্ষিণ বারাসাত স্টেশনে ওভারহেড তারে কলাপতা ফেলে দেয় বিজেপি কর্মীরা।
সাত সকালে হুগলি স্টেশনে রেল অবরোধ করলেন বিজেপি কর্মী- সমর্থকরা। ব্যান্ডেল হাওড়া লোকাল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। রেল লাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিজেপি কর্মী।
চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। আধঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে। অন্যদিকে হিন্দমোটর স্টেশনে অবরোধে বসেন বিজেপি কর্মীরা। রেল লাইনে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ট্রেন চলাচল আটকাতে ওভারহেড তারে কলাপাতা ছুড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অবরোধের জেরে দাঁড়িয়ে পড়ে তারকেশ্বর লোকাল।
