বিবিপি নিউজ,কলকাতা: পুলিশ কেন প্রথমে আত্মহত্যার তত্ত্ব তুলল, সেই প্রশ্নকে সামনে রেখে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন পথে নামেন পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে আরও একাধিক অভিযোগ। কিন্তু শনিবার দুপুরের পর নতুন মোড় নেয় ঘটনা। আরজি করের মেইন গেটে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। মূল গেট আটকে দেওয়া হয়। ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে আরজি কর হাসপাতালচত্বর।
আরজি কর হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার। বিক্ষোভকারীদের ঢুকতে বাধা, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পুলিশের ব্যারিকেড ঢোকার চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা। বাইরের কোনও বিক্ষোভকারীকে আর জি করে ঢুকতে বাধা পড়ুয়াদের। স্লোগান পাল্টা স্লোগান, আর জি করে তুমুল উত্তেজনা
অভিযোগ ওঠে, অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের নাম করে কেউ ঢুকছে। তাদের সঙ্গে বহিরাগতরা ঢুকছে। যারা এই প্রতিবাদকে অন্য অভিমুখ দেওয়ার চেষ্টা করছে। পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
আরও পড়ুনঃ চাকরির দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ আপার প্রাইমারি ইন্টারভিউ বঞ্চিত প্রার্থীদের, ৭৭৮ দিন পার
আরজিকরের বর্তমান পড়ুয়ারা কোনওভাবেই বহিরাগতের প্রবেশ ক্যাম্পাসে চান না। অথচ এখানে এসএফআই, ডিএফআইয়ের মিছিল যেমন আসে, বাইরের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা ভিতরে ঢুকতে চান। অভিযোগ, এদিন তাঁরা ভিতরে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
পুলিশ কার্যত নাজেহাল হয় এই পরিস্থিতি সামাল দিতে। বাইরে থেকে আসা প্রতিবাদীদের বক্তব্য, ক্যাম্পাসটা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। যে ক্যাম্পাসে একজন ডাক্তার রেপ হয়ে খুন হয়ে যায়, সেখানে প্রতিবাদ করতে এলে বহিরাগত বলা হয়।
ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত তিনি নিজে রয়েছেন। বারবার বলতে থাকেন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু পরিস্থিতি কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। যশোর রোড অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পরে আসেন যুগ্ম কমিশনার রূপেশ কুমারও।