জনসাধারণের স্বাস্থ্যের অতন্ত্র প্রহরী আশাকর্মী, নিরাশায় ভুগছে তারাই - BBP NEWS

Breaking

রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২০

জনসাধারণের স্বাস্থ্যের অতন্ত্র প্রহরী আশাকর্মী, নিরাশায় ভুগছে তারাই

নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা: বর্তমান সময়ের নিরিখে সারা বিশ্বের সাথে সারা বাংলার মানুষও গৃহবন্দি। কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের নির্দেশে বাংলার প্রতিটা বাড়ির প্রধান দরজায় অদৃশ্য এক লক্ষণ রেখা টেনে দিয়েছে বাড়ির গৃহকর্তা। সেই বাড়িতে সাধারণ মানুষের যাতায়াত একেবারের জন্য বন্ধ। কিন্তু সেই দরজার সামনেই বাংলার স্বাস্থ্য দপ্তরে কাজ করা বেগুনি শাড়ি পরিহিতা আশা কর্মীরা রাজ্য সরকারের নির্দেশে হাজির হচ্ছেন। তারা বৈশাখের এই ঠাঁ ঠাঁ রোদ্দুরকে উপেক্ষা করে, সর্বোপরি করোনা ভাইরাসের মতো এক মারাত্মক মারণব্যাধি কে তুচ্ছজ্ঞান করে বাংলার মানুষ যাতে সুস্থ থাকে তারজন্য বাড়ি বাড়ি  খোঁজখবর নিয়ে প্রথমে জেলা স্তর তারপর সেই বার্তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং সর্বশেষ নবান্ন পৌঁছে দিচ্ছেন। নবান্ন সেই স্বাস্থ্য সহায়িকাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রতিদিনের করোনা ভাইরাসের আপডেট বুলেটিন দিচ্ছে‌।

কিন্তু সেই স্বাস্থ্য সহায়িকারা ওরফে আশা কর্মীরা মনোক্ষুন্ন, কেন এই মনোক্ষুন্ন?একটু খোঁজ খবর নিয়ে বিবিপি নিউজের সংবাদদাতা জানতে পারলো যে(আশা কর্মীদের বক্তব্য অনুযায়ী) তারা এই লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেই প্রথমে মানুষের বাড়ি বাড়ি না গিয়ে ফোনেতেই অসুস্থ মানুষ সহ গর্ভবতী মহিলাদের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন চলার পর সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। রাজ্য সরকার থেকে আসে নতুন নির্দেশিকা, অর্থাৎ তাদের নামতে হবে আবার ময়দানে। করতে হবে করোনা সমীক্ষা।সেই জন্য তারাও নেমে পড়লেন। বাড়ি বাড়ি শুরু করলেন খোঁজখবর নেওয়া।এবার আসা যাক পদ্ধতিতে, প্রথমে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে শুরু করলেন জিজ্ঞাসাবাদ। বাড়ির কোন ব্যক্তির সমসাময়িক জ্বরে ভুগেছেন কিনা, কারো সর্দি কাশি  হয়েছে কিনা এবং সর্বোপরি অন্য রাজ্য বা বিদেশ থেকে এমন কোন ব্যক্তি বাড়িতে এসেছেন কিনা, আর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাড়িতে বয়স্ক ব্যক্তি কোনো যদি থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই আলাদা করে যেন যত্ন নেওয়া হয় তার দিকেও বিশেষ নজর রাখতে বললেন। এই সমস্ত ঘটনার পর আশা কর্মীরা নিজেদের সুরক্ষার জন্যও কিঞ্চিত চিন্তিত। কারণ হিসাবে জিজ্ঞাসা করাতে বিবিপি নিউজে সংবাদদাতা জানতে পারল, করোনা ভাইরাসের মত এক মারাত্মক ব্যাধি কে শুধুমাত্র কি মাক্স পড়ে মোকাবিলা করা যায়।আমরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি আমাদের ও তো স্বাস্থ্যের একটু খেয়াল রাখতে হবে।মানুষ উল্টে আমাদের কেই জিজ্ঞাসা করছে আমরা কেন গ্লাভস পরিনি। তাই সরকার থেকে অনেক বলার পর এই মাস্কটাই  পেয়েছি। পাইনি কোন হাতে গ্লাভস বা স‍্যানিটাইজ করার কোন জিনিস।তাই আমরা সকলেই ভীষণভাবে ভয় পাচ্ছি।

Pages