বিবিপি নিউজ: করোনা মোকাবিলায় লকডাউন চলছে দেশ জুড়ে। এরই মাঝে রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার বিরোধীরা অভিযোগ তুলছিল।কয়েকদিন আগে গোটা ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিয়ে দেখে অপসারিত করেন রাজ্যের খাদ্যসচিব সহ দুই জেলাশাসকও। এরপরেই রেশন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকার ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করল বিজেপি। শনিবার খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুললেন এমনকি ‘অপদার্থ’ বলে আক্রমন করলে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। পালটা ত্রাণের নামে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে সরব হলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
চলতি মাসের শুরুতে রেশনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিলি শুরু হতেই পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মানুষ। অভিযোগ, পরিমানে কম সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে রেশন দোকান থেকে। বিভিন্ন জায়গায় রেশন তুলতে উপচে পড়ে ভিড়। যা সরাতে লাঠিও চালাতে হয়েছে পুলিশকে। এমনকী বিভিন্ন জায়গায় রেশনের চাল তৃণমূল নেতারা বিলি করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যার ফলে তাঁরা মানুষকে সঠিক পরিমানে চাল দিতে পারছেন না বলে জানান রেশন ডিলাররা। এমনকী খোদ খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল নেতারা রেশন ডিলারদের কাছ থেকে চাল লুঠ করছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এই নিয়ে গত কয়েকদিন বারবার দলীয় নেতাদের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বলেছেন, রেশন দোকান থেকে সামগ্রী নিয়ে ত্রাণ বিলি চলবে না। ত্রাণ বিলি করতে গেলে তা করতে হবে নিজের গ্যাঁটের কড়ি খসিয়ে। তবে তাতেও ছবিটা বিশেষ বদলায়নি বলে অভিযোগ।
এই নিয়েই শনিবার মুখ খোলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘রেশন ব্যাবস্থায় চরম দুর্নীতি, ব্যাপক দলবাজি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র বিবৃতি দিয়ে এর দায় এড়াতে পারবেন না। অবিলম্বে অযোগ্য, অপদার্থ, দুর্নীতিগ্রস্ত খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বরখাস্ত করতে হবে। তাঁর খাদ্যমন্ত্রীর পদে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।‘ এই আক্রমনে জবাবে পাল্টা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘কেন্দ্রের থেকে ছিটেফোঁটা চালও রাজ্যে ঢোকেনি। বাংলার মানুষকে প্রতারণা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিবকে জিজ্ঞাসা করুক। ও একটা মিথ্যেবাদী, ধাপ্পাবাজ, প্রবঞ্চক। জীবনে জনপ্রতিনিধি ব্যাপারটা তো বুঝতে পারেনি। কী করে জনপ্রতিনিধি হতে হয় জানে না। জীবনে তো পঞ্চায়েতেরও মেম্বার হতে পারেনি।‘ তবে করোনার মাঝে রাজনীতি নয় বলে বারবার পার্টির উপরতলা থেকে বললেও রাজ্যে ঠান্ডা লড়াই অব্যাহত।
চলতি মাসের শুরুতে রেশনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিলি শুরু হতেই পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মানুষ। অভিযোগ, পরিমানে কম সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে রেশন দোকান থেকে। বিভিন্ন জায়গায় রেশন তুলতে উপচে পড়ে ভিড়। যা সরাতে লাঠিও চালাতে হয়েছে পুলিশকে। এমনকী বিভিন্ন জায়গায় রেশনের চাল তৃণমূল নেতারা বিলি করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। যার ফলে তাঁরা মানুষকে সঠিক পরিমানে চাল দিতে পারছেন না বলে জানান রেশন ডিলাররা। এমনকী খোদ খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূল নেতারা রেশন ডিলারদের কাছ থেকে চাল লুঠ করছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এই নিয়ে গত কয়েকদিন বারবার দলীয় নেতাদের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বলেছেন, রেশন দোকান থেকে সামগ্রী নিয়ে ত্রাণ বিলি চলবে না। ত্রাণ বিলি করতে গেলে তা করতে হবে নিজের গ্যাঁটের কড়ি খসিয়ে। তবে তাতেও ছবিটা বিশেষ বদলায়নি বলে অভিযোগ।
এই নিয়েই শনিবার মুখ খোলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘রেশন ব্যাবস্থায় চরম দুর্নীতি, ব্যাপক দলবাজি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী শুধুমাত্র বিবৃতি দিয়ে এর দায় এড়াতে পারবেন না। অবিলম্বে অযোগ্য, অপদার্থ, দুর্নীতিগ্রস্ত খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে বরখাস্ত করতে হবে। তাঁর খাদ্যমন্ত্রীর পদে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।‘ এই আক্রমনে জবাবে পাল্টা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘কেন্দ্রের থেকে ছিটেফোঁটা চালও রাজ্যে ঢোকেনি। বাংলার মানুষকে প্রতারণা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিবকে জিজ্ঞাসা করুক। ও একটা মিথ্যেবাদী, ধাপ্পাবাজ, প্রবঞ্চক। জীবনে জনপ্রতিনিধি ব্যাপারটা তো বুঝতে পারেনি। কী করে জনপ্রতিনিধি হতে হয় জানে না। জীবনে তো পঞ্চায়েতেরও মেম্বার হতে পারেনি।‘ তবে করোনার মাঝে রাজনীতি নয় বলে বারবার পার্টির উপরতলা থেকে বললেও রাজ্যে ঠান্ডা লড়াই অব্যাহত।