ইরফানের নামে গ্রামের নামকরণ, প্রয়াত অভিনেতাকে স্মরণ করতে অভিনব সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রের গ্রামবাসীদের - BBP NEWS

Breaking

সোমবার, ১১ মে, ২০২০

ইরফানের নামে গ্রামের নামকরণ, প্রয়াত অভিনেতাকে স্মরণ করতে অভিনব সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রের গ্রামবাসীদের

 
বিবিপি নিউজ: ৫৩ তেই চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। থেমে গিয়েছে লড়াই। রুপোলি পর্দায় যেমন তার অভিনয় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন বাস্তবেও তার কোনো পার্থক্য রইল না। তার ভালোবাসায় ভরসা জুগিয়েছে অনেকেই। তাই‌ তিনি আমাদের মধ্যে না থাকলেও আমাদের মনে সর্বদা থাকবে। লকডাউনে ইরফান খানের অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারছে না তার অনুরাগীরা। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে নিজেদের গ্রামের নাম পাল্টে অভিনেতার নাম করতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের এক প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের।

 অভিনেতার কৃতিত্বকে স্মরণ করেই, পাল্টে দেওয়া হচ্ছে মহারাষ্ট্রের ইগাতপুরী গ্রামের নাম। নতুন নামকরণ অনুযায়ী, ইগাতপুরী গ্রাম এবার থেকে পরিচিত হবে ‘হিরো-চি-ওয়াদি’ নামেই। মারাঠি ভাষায় এই কথার অর্থ ‘নায়কের পাড়া’। সম্প্রতি ইগাতপুরী গ্রামের জেলা পরিষদের সদস্য গোরখ বোবদে একথা জানিয়েছেন। এখন প্রশ্ন থেকেই যায়, ইরফান খান কীভাবে জড়িয়ে ছিলেন এই গ্রামের সঙ্গে? প্রায় এক দশক আগে ইরফান জমি কিনেছিলেন এই গ্রামে। মূলত নির্জনে সাপ্তাহিক ছুটি কাটানোর জন্যই বন্দোবস্ত করেছিলেন তিনি। তবে গ্রামবাসীদের করুণ অবস্থা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছিল। গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলিকে যথাসাধ্য সাহায্য করতেন অভিনেতা। গ্রাম থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বেশ খানিকটা দূরে হওয়ায়, অধিবাসীরা তাঁর কাছে অনুরোধ করেছিল একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। দ্বিতীয়বার ভাবেননি ইরফান। একবাক্যেই গ্রামের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স।

বোবদে জানিয়েছেন, গ্রামের স্কুলবাড়ি থেকে শুরু করে, হতদরিদ্র মানুষের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার ভার, ছাত্রছাত্রীদের জন্য বইখাতা, রেনকোট, সোয়েটার নিয়ম মেনেই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ইরফান। পড়াশোনায় উৎসাহ যোগাতে, শিশুদের অনুপ্রাণিত করতে স্কুলে পাঠাতেন মিষ্টির বাক্সও। গ্রামের মানুষের মধ্যে এভাবেই মিশে গিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা। বিনয়ী এই অভিনেতার মৃত্যুশোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি গ্রামবাসীরা। তাঁদের কাছে ইরফান খান কোনো মানুষ বা অভিনেতা ছিলেন না, ছিলেন সাক্ষাৎ ফেরেস্তা। পরম ভালবাসার এই মানুষটিই মৃত্যুর পরেও আজন্ম জড়িয়ে থাকুক তাঁদের সঙ্গে, এমনটাই চান গ্রামবাসীরা। তাই তাঁদের এই উদ্যোগ। 

Pages