রবীন্দ্রনাথকে নিবেদিত - BBP NEWS

Breaking

মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

রবীন্দ্রনাথকে নিবেদিত

তৃণাঙ্কুর প্রতিধ্বনি


অতুলপ্রসাদ সেন বলেছিলেন -

"গাহো রবীন্দ্রজয়ন্তী বন্দনা
ভকতজনে আনো পুষ্পচন্দন
বর বরণ্যে, জগত মান্যে, 
মুখর যাঁর গানে কাব্যকানন।

- "গুরুদেব" যে সময়কালে যে পরিবেশে জন্মেছিলেন, তখন তাঁদের পরিবারের আশ্রয় ছিল জনতার বাইরে। সমাজে তাঁরা যেন ব্রাত্য। তাঁদের পরিবারে পরীক্ষা পাশের সাধনা সেদিন গৌরব পায়নি। ঠাকুরবাড়ির সন্তানেরা দিনরাত নিজের ভাষায় তত্ত্বালোচনা করেছেন,  কাব্যরস আস্বাদনে ও উদ্ভাবনে তাঁরা ছিলেন নিবিষ্ট, চিত্রকলাও ইতস্তত অঙ্কুরিত হয়ে উঠেছে। তার ওপরে নাট্যাভিনয়ে কারও কোনো সংকোচমাত্র ছিল না, আর সমস্ত ছাপিয়ে উঠেছিল সংগীত। বাঙালীর স্বাভাবিক গীতমুগ্ধতা ও গীতমুখরতা কোনও বাধা না পেয়ে ঠাকুরবাড়িতে যেন উৎসের মতো উৎসারিত হয়েছিল। গান - বাজনা - নাট্যকলাকে অক্ষুণ্ন সম্মান দেওয়ার দীক্ষা পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ এবং অবশ্যই সেই শিশুকাল থেকেই। পূর্ণতার আবির্ভাব মানুষ যেখানেই দেখেছে - কথায়, সুরে, রেখায়, বর্ণে, ছন্দে, মানবিক সম্পর্কের মাধুর্যে, বীর্যে - সেখানেই সে আপন আনন্দের সাক্ষ্যকে অমরবাণী তে সাক্ষরিত করেছে। - এই দার্শনিক ভিত্তিই সংগীত ও নাটকের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ কে আজীবন উদ্দীপিত করে রেখেছিল। সংগীতের সাথে বাণীর মিলন সাধনাই কবির প্রধান সাধনা হয়ে উঠেছিল। সে কারণেই "কবিগুরু" বলেছিলেন - "বাংলাদেশে সংগীতের প্রকৃতিগত বিশেষত্ব হচ্ছে গান, অর্থ্যাৎ বাণী ও সুরের অর্ধনারীশ্বর রূপে।" 
 আর এই ক্ষেত্রে পথিকৃৎ স্বয়ং "আন্নাকালী পাকড়াশী"।

"এখনো আমার মনে তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতি 
প্রত্যেক নিভৃত ক্ষণে মত্ততা ছড়ায় যথারীতি, 
এখনো তোমার গানে সহসা উদ্বেল হয়ে উঠি-
নির্ভয়ে উপেক্ষা করি জঠরের নিঃশব্দ ভ্রুকুটি" -

- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্য এর "বিশ্বকবি" কে নিবেদন করে এই রচনাই বোধহয় আপামর রবীন্দ্রপ্রেমীর শেষ কথা।

- মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের উপর চিরদিন গুরুত্ব দিয়েছেন "ভানু সিংহ"। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত্য ভালোবেসেছেন প্রকৃতি ও মানুষকে। তাঁর কাছে মানবধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় ধর্ম সৃষ্টি হয়নি, সভ্যতা-শান্তি-প্রগতিকে অটুট রাখতে এর বিকল্প নেই - এই মূল্যবোধ আমাদের মধ্যে জাগ্রত করার জন্য,  হে  "ঋষি তপস্বী"  তোমাকে প্রণাম...। 

Pages