বিবিপি নিউজ: বোনের ধর্ষণের বদলা নিতে ৬ বছর অপেক্ষার পর তিহার জেলে হাই সিকিউরিটির মধ্যে ধর্ষককে খুন করলেন দাদা। ঘটনাটি সিনেমাকে হার মানাবে। পুরো পরিকল্পনা মাফিক খুন করলেন দাদা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোনের ধর্ষণের এবং আত্মহত্যার বদলা নিতেই ধর্ষককে খুন করেছে ওই বন্দি। বোনের মর্মান্তিক পরিণতির বদলা নিতে জেলে ঢোকার জন্য ইচ্ছে করেই একটা খুন করে আসামী হয়েছিল বছর ২২ এর জাকির।
পুলিশ জানিয়েছে, ছ’বছর আগে জাকিরের বোনকে ধর্ষণ করেছিল ২৭ বছরের মেহতাব। ঘটনার পরে লজ্জায় আত্মহত্যা করে জাকিররর বোন। এই ঘটনার পর থেকেই জাকিরের নজর ছিল মেহতাবের উপর। বোনের মৃত্যুর বদলা নিতে প্ল্যান মাফিক খুন করে আসামী হিসেবে তিহার জেলে ঢোকে জাকির।
পুলিশ সূত্রে খবর জাকির এবং মেহতাব অনেকদিন ধরেই একে অন্যকে চিনত। একে অন্যের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল তাঁদের। কিন্তু মেহতাব জাকিরের বোনকে ধর্ষণ করার সব বদলে যায়। জানা গিয়েছে, মেয়েটি সে সময় নাবালিকা ছিল। ২০১৮ সালে খুনের মামলায় জাকিরের তিহার জেলে ঢোকার রাস্তা পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রথমে জেল নম্বর পাঁচে বন্দি ছিল সে। আর মেহতাব ছিল পাশেরই এক সেলে। সুযোগের অপেক্ষায় ছিল জাকির। এর মধ্যেই জেলে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ইচ্ছে করেই ঝামেলায় জড়ায় সে। নিজেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করে তাকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়াটা। শেষ পর্যন্ত তাকে আট নম্বর সেলে নিয়ে আসা হয়। পাশেই ন’নম্বর সেলে ছিল মেহতাব। এরপর ২৯ জুন সোমবার সুযোগ বুঝে মেহতাবের পেট থেকে শুরু করে গলা পর্যন্ত একাধিক বার ছুরির কোপ মেরেছে জাকির। এদিন ভোর ছ’টার সময়ে জেলের ভিতরেই ঘটনাটি ঘটে। চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন রক্ষীরা। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীপক পুরোহিত জানান, ২০১৪ সালে জাকিরের নাবালিকা বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল মেহতাবের বিরুদ্ধে। পরে মেয়েটি আত্মহত্যা করে। এর পরে জেলবন্দি হয় মেহতাব। ২০১৮ সালে একটি খুনের অভিযোগে তিহাড় জেলে বন্দি হয় জাকিরও। তখন তার বয়স ২০ বছর।জেলে আসার পর বেশ কিছুদিন পার হলে অবশেষে মেহতাবের সেলের কাছাকাছি আসার সুযোগ হয় জাকিরের। এরপর আর আমি নষ্ট করে সে। বোনের পরিণতির বদলা নেওয়ার জন্য মেহতাবকে কুপিয়ে খুন করেছে জাকির।