বিবিপি নিউজ: করোনা ভাইরাস মহামারির জেরে লকডাউন শুরু থেকেই রোজগার বন্ধ রাজ্যের সেল্ফ এমপ্লয়েড লেবার অর্গানাইজেশন বা SLOSLO শ্রমিকদের। আজ সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকে রাজ্যের শ্রম দফতর। এতদিন রোজগার বন্ধ থাকার পর তারা ভেবেছিল সরকার তাদের সুরাহা করবে কিন্তু তাদের দীর্ঘ সমস্যার সমাধান না হওয়ায় বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তাঁরা।
নেতাজি ইন্ডোরে স্টেডিয়ামে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শ্রম দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সামনেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সামনে ও ভেতরে চলে ভাঙচুর। বিকেলে স্টেডিয়ামের সামনের রাস্তায় শয়ে শয়ে শ্রমিক অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন। শুরু পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি।
এদিন বৈঠকে অংশ নিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রমিকরা আসেন। কিন্তু বৈঠকে তাঁদের দাবিদাওয়া মানা হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁদের যা সমস্যা তার কোনও সমাধানসূত্রও দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বক্তব্য রেখে বেরিয়ে যাওয়ার পরই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। শ্রমিকদের কোনও দাবিদাওয়া না মানা হলে এর প্রতিবাদে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নেতাজি ইন্ডোর চত্বর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া তোরণ, হোর্ডিং, ফ্লেক্স ভেঙে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। নেতাজি ইন্ডোরের ভেতরেও চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। ভাঙচুর চলে। তাও মন্ত্রীদের সামনেই। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক যাঁরা সামাজিক সুরক্ষার ফর্ম ফিল আপ করেন সেই শ্রমিকদের সঙ্গে এদিন বৈঠক ডাকে শ্রম দফতর। তাঁদের কোনও বাধাধরা বেতন নেই। প্রতিটি ফর্ম ফিল আপ করে ২ টাকা করে কমিশন পেতেন তাঁরা। সেটাই রোজগার। কিন্তু লকডাউন চালুর পর এপ্রিল মাস থেকে সেটাও বন্ধ। এমনই অভিযোগ ওই শ্রমিকদের। জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো ও সামাজিক সুরক্ষার কথা ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগ, তার কিছুই হয়নি। এর জেরেই তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।্্
ছবি: ইটিভি ভারত বাংলা।
