বিবিপি নিউজ: বামেদের নবান্ন অভিযানের সময় ''লাঠিচার্জে আহত'' হওয়া যুবকের মৃত্যু হল। আজ সোমবার সকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত যুবকের নাম মইদুল ইসলাম মৃধা। ৩২ বছর বয়সী মইদুলের বাড়ি বাঁকুড়ার কোতুলপুর। এলাকায় ফরিদ নামে পরিচিত। পেশায় অটোচালক মইদুল গত বৃহস্পতিবার বাম ছাত্র ও যুবদের নবান্ন অভিযানে পুলিশি লাঠিচার্জের সময় জখম হন। আজ সকালে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়িতে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে।বামেদের অভিযোগ, নবান্ন অভিযানে দিন পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। প্রথমে তাঁকে ডাক্তার ফুয়াদ হালিমের অধীনে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় । রবিবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে । পরে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, পুলিশের লাঠির আঘাতে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে মন্তব্য করবে তারা। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে জ্বালাময়ী আন্দোলন হবে। অপরদিকে, সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, ''ক্ষমতা দেখিয়ে, দম্ভ দেখিয়ে ওকে খুন করেছে সরকার। আর কত লাশ চাই সরকারের। মইদুল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন ।'' মইদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "পুলিশ ধীরে ধীরে হিংস্র হয়ে উঠছে। আমাদের নবান্ন অভিযানেও পুলিশ লাঠি মারে। বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনেও পুলিশ লাঠিচার্জ করেছিল। এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
