বিবিপি নিউজ,রাজকুমার দাস: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এই প্রথম দক্ষিণ কলকাতায় পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড উদ্যাপন করতে চলেছে ‘একুশে বই উৎসব’। কে.এম.ডি.এ. ও যোধপুর পার্ক উৎসব কমিটির সহযোগিতায় এই উৎসব জুড়ে উদ্যাপন করা হবে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানা দিক।
উদ্বোধন, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, সন্ধেবেলা। ‘একুশে বই উৎসব’ চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন ২টো থেকে রাত ৯টা।স্থান — দক্ষিণ কলকাতার তালতলা মাঠ, ই.ই.ডি.এফ-এর পাশে, সাউথ সিটি মলের কাছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা সুপরিচিত গ্রন্থকার শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জীকে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রী শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। বিশেষ অতিথি বাংলাদেশের উপহাইকমিশনের মাননীয় উপরাষ্ট্রদূত জনাব তৌফিক হাসান। সম্মাননীয় অতিথি নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, বাণী বসু, শুভাপ্রসন্ন, মাধবী মুখোপাধ্যায়, আবুল বাশার, জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার, অমর মিত্র, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, প্রচেত গুপ্ত, শ্রীজাত, জয়ন্ত দে, বীথি চট্টোপাধ্যায়, বিনতা রায়চৌধুরী, অভীক মজুমদার প্রমুখ বিশিষ্টজন।
বর্তমান সময়ে নিজেদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, নিজেদের মাতৃভাষাকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন খুব বেশি করে অনুভূত হচ্ছে। সেই কারণেই আমাদের এই প্রচেষ্টা; এবং মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার জন্য যাঁরা গুলি বেয়নেটের সামনে নিজেরা বারবার বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি এই ‘একুশে বই উৎসব’ উৎসর্গীকৃত। মেলার ৭দিন জুড়ে প্রতিদিন বিকেলে থাকছে বাংলা ভাষা চর্চা, বাংলা ভাষার জন্য সংগ্রাম, বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বিতর্ক ও আলোচনাসভা। এইসব আলোচনায় উপস্থিত থাকছেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিশিষ্ট গুণিজনেরা। এছাড়াও প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে বাংলার গান, আবৃত্তি ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দক্ষিণ কলকাতার এই একুশের বই মেলায় উপস্থিত থাকছে পশ্চিমবঙ্গের নামি বাংলা ও ইংরেজি বইয়ের প্রকাশকদের স্টল এবং সরকার পোষিত প্রকাশনা সংস্থাও। থাকছে প্রতিবেশী বাংলাদেশের বইও। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড আয়োজিত অন্যান্য অনুষ্ঠানের মতো, এই নতুন উদ্যোগ, একুশে বই উৎসবও সফল হবে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান গিল্ডের তরফে সুধাংশু শেখর দে, ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় সাধারণ সম্পাদক ওসভাপতি। এই মেলা দুই বাংলা ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি র এক আয়োজন তা বলাই যায়।
