বিবিপি নিউজ: অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী নীরাজ চোপড়া। ঐতিহাসিক সোনা জিতে ইতিমধ্যে দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন। দেশে ফিরেই আবারও ভারতবাসীর মন জিতে নিলেন নীরজ । শনিবার ভারতে ফেরার পরেই নিজের বাবাকে সোনার পদক পরিয়ে দেন তিনি। পাশে বসে আছেন নীরজের মা। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের আবারো মন জয় করলেন
![]() |
বাবার গলায় সোনার পদক পরিয়ে দিচ্ছেন ধীরাজ, পাশে বসে মা। |
গত শনিবার অলিম্পিক্সে ইতিহাস তৈরি করেন নীরজ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পদক জেতেন। টোকিয়োর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রথম থ্রোয়েই ৮৭ মিটারের গণ্ডি পেরিয়ে যান। ছোড়েন ৮৭.০৫ মিটার। দ্বিতীয় চেষ্টায় আরও এগিয়ে যান। সেইবার নীরজের বর্শা ৮৭.৫৮ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। সেটাই শেষপর্যন্ত সোনার পদকের জন্য যথেষ্ট ছিল। সোনার পদক গলায় নিয়ে নীরজ বলেন, ‘দ্বিতীয় থ্রোয়ের পর আমি জানতাম যে প্রথমের থেকে ভালো করেছি। আমি ভাবিনি যে আমি জিতে গিয়েছি। সেটা বিপজ্জনক হতে পারত। কারণ সেটার উপর নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারপর আমি অলিম্পিক্স রেকর্ডের (৯০.৫৭ মিটার, বেজিং অলিম্পিক্সে হয়েছিল) জন্য ঝাঁপাব ভেবেছিলাম। কিন্তু সেই পরিকল্পনামাফিক হয়নি। পরবর্তী লক্ষ্য ৯০ মিটার।’ সেইসঙ্গে নীরজ বলেন, ‘অবিশ্বাস্য লাগছে। অ্যাথলেটিক্সে এই প্রথম ভারত সোনা জিতল। তাই আমার দারুণ লাগছে।
টোকিও থেকে সোমবার বিকেল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন নীরজ। সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা হকি দলের সদস্যরা, ব্রোঞ্জজয়ী বক্সার লভলিনা বড়গোহাঁই এবং ব্রোঞ্জজয়ী কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। ছিলেন রুপোজয়ী কুস্তিগির বিজয় কুমার দাহিয়া। দিল্লিতে অবতরণের পর সকলেই দুর্দান্ত অভ্যর্থনা পান। তবে প্রতীক্ষা চলছিল, কখন নীরজ বাইরে আসবেন। সোনার ছেলে কিছুক্ষণ পর বাইরে আসেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে তাঁকে নামিয়ে আনা হয়। ধ্বনি উঠতে থাকে 'নীরজ, নীরজ'। তারই ফাঁকে নীরজ বলেন, ‘শুধু আমায় নয়, সব খেলোয়াড়দের এরকমভাবে স্বাগত জানানো উচিত। সবাইকে এরকমভাবে ভালোবাসতে হবে। আমরা আরও ভালো করব। আরও পদক আনব।'