বিবিপি নিউজ: সামনেই পুরসভার নির্বাচন। আর নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচন কমিটি ঘোষণা করল রাজ্য গেরুয়া শিবির। ঘোষণা করা হল কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা ভোটের পরিচালনা কমিটি। আর এই কমিটির শীর্ষে রয়েছে তৃণমূল ত্যাগীরা। অর্থাৎ যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর এতেই ফের একবার বিজেপির অন্দরে আদি ও নব্যের জল্পনা শুরু হয়েছে।
আদি ও নব্যের লড়াই বিজেপির অন্দরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই। একের পর এক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন। এরই মধ্যে শুভেন্দুকে আক্রামন করে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা, বুধবার তারই অনুগামী বিজেপির হাওড়া জেলা সদরের সম্পাদক দলের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে পৌরসভার নির্বাচন কমিটি ঘোষণা করলেন গেরুয়া শিবির।
বিজেপির নির্বাচন কমিটিতে রয়েছেন, কলকাতার নির্বাচনী প্রচারের ইনচার্জ প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। কো-ইনচার্জ হিসেবে নাম রয়েছে তুষারকান্তি ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, বিজয় ওঝা এবং বৈশালী ডালমিয়ার। এদের মধ্যে তুষারকান্তি বাদে তিনজনেই তৃণমূলে ছিলেন। সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি, স্বপন দাশগুপ্তর। নাম রয়েছে পুরসভার কাউন্সিলর মীনা দেবীর পুরোহিতেরও। উত্তর কলকাতার আহ্বায়ক কল্যাণ চৌবে এবং দক্ষিণ কলকাতার আহ্বায়ক করা হয়েছে অগ্নিমিত্রা পলকে। অন্যদিকে, হাওড়ায় পুরভোটের ইনচার্জ করা হয়েছে তৃণমূল থেকে আসা রথীন চক্রবর্তীকে। কো-ইনচার্জ হিসেবে নাম রয়েছে মনোজ পাণ্ডে এবং সুপ্রীতি চ্যাটার্জির। একজন তৃণমূলে ও অপরজন কংগ্রেসে ছিলেন। সদস্য হিসেবে নাম রয়েছে তৃণমূলত্যাগী বর্ষীয়ান নেতা জটু লাহিড়ির। হাওড়ায় পুরভোটে বিজেপির আহ্বায়ক হিসেবে নাম রয়েছে উমেশ রাইয়ের।
উল্লেখযোগ্যভাবে কলকাতা ও হাওড়ার প্রতিটি বরোতে কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। হাওড়ার সাতটি এবং কলকাতার ১৬টি বরোর প্রতিটিতে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে একজন করে বিধায়ককে।