বিবিপি নিউজ
বিশ্বপ্রেমীকদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য। অতীতে লাভ টানেল ছিল রেলের একটি অংশ। লাভ টানেলের পাশে সুদূরপ্রসারী বনে আচ্ছাদিত পর্বতমালা ও দুর্দান্ত কৃষ্ণ সাগর উপকূলরেখা আছে। এটি ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ক্লেভান ও ওরঝিভ গ্রামের মধ্যে অবস্থিত টানেল অব লাভ। এই টানেল তিন কিলোমিটার দীর্ঘ। পুরো টানেলই সবুজে ঘেরা। তবে প্রকৃতি যখন রং বদলায় তখন টানেলের রঙও বদলায়। বিস্ময়কর একটি স্থান। চারপাশ শুধু সবুজ আর সবুজ। যেখানে প্রবেশ করলে আর বের হতেই ইচ্ছে হবে না কারো। তারই মধ্যে প্রিয়জনের হাতে হাত রেখে হাঁটছেন আপনি! আর মনে মনে ভাববেন, এই পথ যদি না শেষ হয়... এই দৃশ্য কল্পনা করতে গিয়ে নিশ্চয়ই পুলকিত হয়ে উঠেছেন? চাইলে এমনই মনোরোম এক নৈস্বর্গীক স্থানে আপনিও সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
লাভ টানেল বা প্রেমের সুড়ঙ্গের কথা প্রায় সকলেই যেতে চায়। এই টানেল দিয়ে হেঁটে যাওয়া সিনেমার দৃশ্যের চেয়ে কম কিছু নয়। কারণে স্থানটি বিশ্বব্যাপী আলোচিত ও জনপ্রিয় এক রোমান্টিক ডেস্টিনেশন। সেখানে যান হানিমুনে যান বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের দম্পতিরা। এমনকি অনেকেই লাভ টানেলে গিয়ে বিয়েও সেরে নেন। সেখানকার স্থানীয়রা বিশ্বাস করে, যদি দুইজন ব্যক্তি তাদের প্রেমে আন্তরিক হয় ও একে অপরের হাত ধরে সুড়ঙ্গটি অতিক্রম করে তবে তাদের মনে ইচ্ছা পূরণ হয়। লাভ টানেলের অবস্থান হল বর্তমান যুদ্ববিধ্বস্ত ইউক্রেনের ক্লেভানে। এই টানেলের মধ্য দিয়ে আসলে ট্রেন যাতায়াত করে।
সবুজ এই টানেলে দৈনিক একবার করে ট্রেনটি কাছের এক কাঠ কারখানায় কাঠের লগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য চলাচল করে। ঐ নির্দিষ্ট সময় বাদে প্রায় সব সময়ই পর্যটকরা স্থানটিতে সময় কাটান। টানেল অফ লাভ ছাড়াও সেখানে গেলে আপনি লভিভের রাইনোক স্কোয়ার, সিনেভির লেক, সোফিয়িভকা পার্ক ও কার্পেথিয়ানের শোয়েনবর্নস ক্যাসেল হলও পরিদর্শ করতে পারবেন। ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে কার্পেথিয়ান পর্বতমালার মধ্যকার হাইক ট্রেইল খুবই জনপ্রিয়। সেখানে উঠলে পুরো শহরের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। শহরের রাস্তার পাশের রেস্তোঁরাগুলোতেও ঢুঁ মেরে জনপ্রিয় সব খাবার খেয়ে আসতে ভুলবেন না।
