বিবিপি নিউজ
আজ সোমবার
দুপুরে মন্ত্রীসভার বৈঠক এগিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় করার কথা জানিয়েছিল রাজ্যের
প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্ন। এদিন বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাংবাদিক
বৈঠকে এলে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মন্ত্রিসভায় কি রদবদল হচ্ছে? তিনি জানান, মন্ত্রিসভার
বদল দরকার। কারণ তাঁর একার পক্ষে এতগুলো দফতরের ভার সামলানো সম্ভব নয়। কিন্তু
সেই বদল সোমবারের বৈঠকে হয়নি। মমতা বলেন, ‘‘আজ নয় পরশু একটা
ছোট রিশাফল করব।’’ বস্তুত এই বক্তব্যে মমতা এ কথাও স্পষ্ট
করে দিয়েছেন, তাঁর মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজানো নিয়ে যে জল্পনা
চলছিল, তা ঠিক নয়। তিনি মন্ত্রিসভায় ছোট রদবদল করবেন। তবে এই
রদবদলে কারা জায়গা পাবে কারা পাবে না, কারও মন্ত্রিত্ব যাবে
কি না সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি মমতা। তিনি বলেন, ‘‘চার পাঁচজনকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হবে। কয়েকজনকে দলের কাজে লাগানো হবে।’’ তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে নতুন মন্ত্রী সভায় জায়গা পেতে চলেছে সম্ভাব্য
মন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছিল বাবুল সুপ্রিয় এমনকি পার্থ ভৌমিকের নাম ও উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ন
গোস্বামীর নাম। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার
বৈঠক ডাকার পর থেকেই তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যেহেতু পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব
থেকে অপসারণের পর এটিই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক, তাই অনেকই অনুমান
করেছিলেন, এই সভা থেকে বড় বদলের ঘোষণা হতে পারে। অনুমানের
কারণ অবশ্য মমতারই একটি মন্তব্য। কারণ গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর চারটি দফতরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর মমতা
বলেছিলেন, ‘‘পার্থদার কাছে যে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলি আপাতত আমার কাছে থাকছে। হয়তো কিছুই করব না, কিন্তু
যত ক্ষণ না নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করছি তত ক্ষণ এই দফতরগুলি আমার কাছে এসেছে।’’
মমতার এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয় জল্পনা। তবে যেহেতু মমতার মন্ত্রিসভায় ইতিমধ্যেই দু’জন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং
সাধন পাণ্ডের মৃত্যু হয়েছে আর এ বার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও সরানো হল, তাই রাজনৈতিক মহলের ধারণা ছিল সোমবারের বৈঠকে ওই প্রাক্তন মন্ত্রীদের দফতরের
দায়িত্ব নতুন কোনও বিধায়কের হাতে দেওয়া হতে পারে।